ফরাসি লাল দুর্গের সিংহাসন থেকে নাদালকে নামালেন জোকোভিচ

টুর্নামেন্টের নাম যদি হয় ফ্রেঞ্চ ওপেন আর খেলেন রাফায়েল নাদাল, তাহলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় শিরোপার গতিপথ। এতটা স্পষ্ট করে কীভাবে বলা যায়? বছরের তৃতীয় এই গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতাটি আক্ষরিক অর্থেই নিজের ‘সম্পত্তি’ বানিয়ে ফেলেছেন নাদাল। যে কারণে ফরাসি লাল দুর্গের ‘রাজা’ তিনিই। তবে ইতিহাস তো আর সবসময় সঠিক বার্তা দেয় না! তাই রোলাঁ গারোতেও পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। লাল দুর্গে সিংহাসনচ্যুত হলেন নাদাল। তাকে টেনে নামালেন টেনিসের আরেক গ্রেট নোভাক জোকোভিচ।

নাদালের মোট গ্র্যান্ড স্লাম সংখ্যা ২০। যার ১৩টিই জিতেছেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। আরও অবাক করা তথ্য হলো ‍এতদিন রোলাঁ রোলাঁ গারোতে ১০৭ ম্যাচে তার হারের সংখ্যা ছিল মোটে দুটি! ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলতে নেমেছেন, আর শিরোপা জেতেননি, এমন ঘটনা এর আগে ছিল মাত্র একটি। সেই লাল দুর্গে এবার জোকোভিচে ধরাশয়ী নাদাল। সেমিফাইনালের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হেরে গেছেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি।

ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলে জোকোভিচ ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৬-২ গেমে। রবিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্তেফানোস সিসিপাস। ২২ বছর বয়সী এই গ্রিক প্রথমবার উঠেছেন গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে। প্রথম সেমিফাইনালে সিসিপাস ৬-৩, ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬, ৬-৩ গেমে হারিয়েছে পঞ্চম বাছাই আলেক্সান্দার জভেরেভকে।

জোকোভিচের সামনে এখন গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারের ১৯তম শিরোপার হাতছানি। ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে পারলে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লামের তালিকায় রজার ফেদেরার ও নাদালের চেয়ে মাত্র এক শিরোপা দূরে থাকবেন। যার কাছে নাদালের বিপক্ষে জেতা এই সেমিফাইনাল ক্যারিয়ারের সেরা তিন জয়ের একটি, ‘এটা ওইসব জয়ের একটি যা সারাজীবন মনে রাখার মতো। আমার জীবনে এটি সেরা তিন ম্যাচের একটি।’