ফাইনালে ওঠার লড়াইটাও করতে পারলেন না নাদাল

শরীরের সঙ্গে যুদ্ধ আর কত করা যায়! রাফায়েল নাদাল তবু হার মানলেন না। চোট নিয়েও লড়াই চালিয়ে গিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে নাম লেখালেন। তবে শরীর যেভাবে বিরুদ্ধ আচরণ করছিল, তাতে শেষ চারে তার খেলা নিয়ে ঘোর সংশয় জন্মে। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হলো। ফাইনালে ওঠার লড়াইটাও করতে পারলেন না রেকর্ড ২২ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী। চোটের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে উইম্বলডন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন নাদাল।

তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেই উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরগিয়োস। রবিবারের ফাইনালে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন নোভাক জোকোভিচ ও ক্যামেরন নোরির অন্য সেমিফাইনাল জয়ী।

কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। ৩৬ বছর বয়সী দ্বিতীয় বাছাইয়ের টেলর ফ্রিৎসের বিপক্ষে খেলার সময় চিকিৎসার প্রয়োজন পড়েছিল। পেটের চোট নিয়েও খেলেছিলেন। শেষ আটের লড়াইয়ে পেটে এক ধরনের ফিতা পেঁচিয়ে খেলতে দেখা গেছে তাকে। তবে সেমিফাইনাল লড়াইয়ের আগে আর ঝুঁকি নিতে চাননি। পেটের চোটে স্প্যানিশ তারকা সরে দাঁড়িয়েছেন বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে নাদাল বলেছেন, ‘গোটা দিন ভেবে আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। আমার মতে, খেলার কোনও মানেই হয় না (সেমিফাইনাল)। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে কথাটা আমাকে বলতে হচ্ছে। এই ম্যাচে ঝুঁকি নিয়ে আমি দুই-তিন মাসের জন্য খেলার বাইরে ছিটকে যেতে চাই না।’

দুইবারের উইম্বলডন জয়ী নাদালের সামনে ছিল ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সুযোগ। এ বছরের প্রথম দুই মেজর শিরোপা অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ‍ওপেনের দুটো প্রতিযোগিতাই জিতেছেন তিনি।