দেশে ফিরেছেন মাশরাফি-মুশফিকরা

mash-25শ্রীলঙ্কা সফরের সুখস্মৃতি নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল।     

দেশের মাটিতে দুর্দান্ত বাংলাদেশকে বিশ্ব শাসন করতে হলে বিদেশেও সফল হতে হবে- বলছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বছর দেড়েক পর দেশের বাইরে গিয়েছিল তারা। নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরে সাফল্য ধরা দেয়নি, তবে অগ্রগতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তারই স্বীকৃতি মিলেছে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে। সাফল্যে মোড়ানো ছয় সপ্তাহের এ সফর শেষে শুক্রবার সকালে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন মাশরাফি ও মুশফিকরা।

এর আগে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের সাফল্য ছিল চার বছর আগে, ওয়ানডে সিরিজ ড্র। আর বাকি সময়ে ছিল ছন্নছাড়া পরাজয়ের গ্লানি। কিন্তু এবারই প্রথমবার কোনও সিরিজ না হেরে দেশে ফিরল বাংলাদেশ।

অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না তাদের। টেস্ট সিরিজে গলে প্রথম ম্যাচে ২৫৯ রানে হেরেছিল সফরকারীরা। এর পর শততম টেস্টে এলো বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়, ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ সমতায় রেখে শেষ করেছিল মুশফিক বাহিনী। ওয়ানডেতে সেই ধারা ধরে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ৯০ রানে হারান মাশরাফিরা। ৩-০ তে জয়ের স্বপ্ন আঁকতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে শেষ ম্যাচে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। ওই সিরিজও শেষ হয় ১-১ এ। বিমানবন্দরে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা ২-০ তে সিরিজ জিততে পারিনি, এটা ছিল সবচেয়ে বড় হতাশার। তৃতীয় ম্যাচটি জিতলে আমি অনেক বেশি খুশি হতাম। দেশের বাইরে একটি সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল আমাদের।’ 

ওয়ানডে সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে আসে মাশরাফির আচমকা অবসরের ঘোষণা। তার প্রভাবই হয়তো পড়েছিল ম্যাচে। কুশল পেরেরার দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেটে হারতে হয় বাংলাদেশকে। অবশ্য মাশরাফিকে বিদায়ী উপহার দিতে সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তার সতীর্থরা। অদম্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে তারা সফল অধিনায়কের শেষটা সাফল্যে মুড়িয়ে দেন।

/এফএইচএম/