নুসরাত আক্তার লোপার ‘হুর নুসরাত’

নুসরাত আক্তার লোপা

শুরুতে বাসায় ছোট-খাটো কাজ করতেন। তারপর পড়ালেখা শেষে ভাবলেন কিছু একটা করা দরকার। সেই চিন্তা থেকেই নুসরাত আক্তার লোপা ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন হুর নুসরাত।

বর্তমানে তার এই অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা মেয়েদের কাপড়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন। ভারতীয় এবং পাকিস্তানি কাপড়ের ভিড়ে তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন। মানুষ যখন ভারতীয় এবং পাকিস্তানি ডিজাইনে বুঁদ হয়ে আছে তখন তিনি দেশীয় কাপড় এবং ডিজাইন নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। অবশেষে তিনি সফল। ক্রেতাদের কাছে এখন তার কাপড়ের অনেক চাহিদা।

নুসরাত সম্পূর্ণ দেশীয় কাপড় নিয়ে কাজ করেন। তিনি নিজেই এসবের ডিজাইন করেন। তারপর সেগুলো বানানোর জন্য কারিগরদের বুঝিয়ে দেন। এ কারণেই তার জামা-কাপড়গুলো অন্যদের থেকে আলাদা হয়। তার অনেক কাপড় নারায়ণগঞ্জ এবং ঠাকুরগাঁও থেকে আসে।

কাপড়ের ব্যবসা শুরু করলেন কিভাবে জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, সবসময়ই চিন্তা করতাম ক্রিয়েটিভ কিছু করব। তাছাড়া আগে থেকেই আমার নিজের এবং আমার বোনদের জামা আমি নিজেই বানাতাম। মূলত এভাবেই চিন্তাটা মাথায় এসেছে।

অনলাইনে ব্যবসা করলে বাইরে যেতে হবে না কিংবা দোকানে থাকতে হবে না। বাসায় থেকে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি এ কাজটি করা যাবে। এছাড়া অনলাইনে ব্যবসা করলে বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। এ কারণেই অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

ব্যবসা করতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, আগে অনেক বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখন আর এসব সমস্যা তেমন একটা নেই। তবে এখন অনেকেই পেজে অনেক বাজে কমেন্ট করে। এগুলো খুব বেদনাদায়ক।

ভবিষ্যতে নুসরাত আক্তার লোপার পরিকল্পনা হলো হুর নুসরাত -এর একটি শো-রুম দেওয়া। এছাড়া নিজের এই প্রতিষ্ঠানকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করতে চান তিনি। যেখানে থাকবে দেশীয় কাপড়ের সমাহার।

নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে নুসরাত বলেন, পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সততা দিয়ে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব। যে যত পরিশ্রম করবে সে ততো এগিয়ে যাবে। তাই আমি সবাইকে পরিশ্রম করতে বলব। সঙ্গে লাগবে ধৈর্য ও সততা। তবেই আসবে সফলতা। হুর নুসরাতের ফেসবুক পেজ  https://www.facebook.com/HURnusrat/?fref=ts

/এইচএএইচ/