জন্মদিনে জেনে নিন ফেসবুকের কয়েকটি বড় ঘটনা

জন্মদিনে ফেসবুকবর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। বিশ্বজুড়ে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২৪০ কোটি। কিন্তু এক সময় ফেসবুক শুধু একটা কলেজ প্রজেক্ট ছিল যার পরিকল্পনা করেছিলেন তরুণ শিক্ষার্থী মার্ক জাকারবার্গ।

আজ ১৫তম জন্মদিন পালন করছে ফেসবুক। এমন দিনে চলুন দেখে নেওয়া যাক ফেসবুক সম্পর্কিত বড় কয়েকটি ঘটনা-

ফেসবুক চালু: ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ফেসবুক চালু হয়। তখন এর নাম ছিল ‘দ্য ফেসবুক’। ওই সময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে এই সাইট চালু করা হয়। ২০০৫ সালে দ্য ফেসবুক থেকে প্রতিষ্ঠানটির নাম ফেসবুক ডট কম হয় এবং ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে ১৩ কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য এটা চালু করা হয়।

আইডিয়া চুরির অভিযোগ: ফেসবুক চালুর পরে জাকারবার্গের বিরুদ্ধে হার্ভার্ডের অন্য শিক্ষার্থীরা আইডিয়া চুরির অভিযোগ করেন। এজন্য শেষ পর্যন্ত জাকারবার্গের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তারা। ২০০৮ সালে এই মামলার নিষ্পত্তি হয়।

ইনস্টাগ্রাম ক্রয়: প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামকে ফেসবুক কিনে নেয় ২০১২ সালে। এজন্য ফেসবুককে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হয়। অবশ্য ইনস্টাগ্রাম কিনলেও এই প্ল্যাটফর্মটিকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রেখেছে ফেসবুক।

হোয়াটসঅ্যাপ ক্রয়: ২০১৪ সালে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয় ফেসবুক। ইনস্টাগ্রামের মতো এটাকেও স্বাধীন রেখেছে তারা। যদিও কিছু ফিচার দুটি মাধ্যমেই পাওয়া যায়। তারপরও গ্রাহকরা দুটি প্ল্যাটফর্মকে আলাদাভাবেই দেখে থাকেন।

১০০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক: ২০১৫ সালের আগস্টে ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলকে পৌঁছার ঘোষণা দেয় ফেসবুক। তখন এটাকে অনেকটা অবিশ্বাস্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। যদিও প্রায় ৪ বছরের ব্যবধানে ফেসবুক গ্রাহকের দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি: এখন পর্যন্ত ফেসবুকের সবচেয়ে বড় বিতর্কিত ঘটনার নাম ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে দেখে গেছে, অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে সরবরাহ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। বলা হয়, এই কেলেঙ্কারিতে ৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।

৩ কোটি গ্রাহকের তথ্য চুরি: ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুক জানায়, একটি নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে ৫ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে এই সংখ্যাটি ৩ কোটিতে নেমে আসে। মূলত ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং এই তথ্যচুরির ঘটনার কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল ফেসবুক।

সূত্র: মেট্রো