ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেওয়ার আহ্বান রবির

রবি২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ৯৬ কোটি টাকা লোকসান দিলেও বছর শেষে রবির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২১৫ কোটি টাকায়। টাওয়ার কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে এ মুনাফা করেছে অপারেটরটি। ২০১৬ সালে একীভূত হওয়ার পর একীভূত কোম্পানি হিসেবে এই প্রথম মুনাফার দেখা পেল রবি।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি)গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের ব্যবসায়িক প্রতিবেদনে রবি এসব তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে অপারেটরটি সরকারের কাছে ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
২০১৮ সালের শেষে রবির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ বা ২ কোটি ৮৩ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
চতুর্থ প্রান্তিকের ১ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকাসহ ২০১৮ সালে রবি’র মোট আয়ের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রবির মোট আয় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ৬৭৫ কোটি টাকাসহ পুরো বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মোট ৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা জমা দিয়েছে রবি। এ নিয়ে ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে মোট জমার পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা।
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৪.৫জি সেবায় ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে ডেটা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ওভার-দ্য-টপ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভয়েস সেবা থেকে যে রাজস্ব কমছে, ডেটা সেবায় মাত্রাতিরিক্ত প্রতিযোগিতা থাকায় সে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, সরকার যেন টেলিযোগাযোগ খাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ডেটা সেবার ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।