আগুন নেভানোর নায়ক ‘ক্লোসাস’ রোবট

ক্লোসাস রোবটড্রোন আর ‘ক্লোসাস’ রোবটের কল্যাণে ভষ্ম হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ফ্রান্সের জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচিত নটরডেম ক্যাথেড্রাল। ক্যাথেড্রালের মূল অবকাঠামোটি যতটুকু রক্ষা করা গেছে তা প্রযুক্তির ব্যবহারেই সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের দমকল বিভাগের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল প্লাস। প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা দ্য ভার্জকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ক্যাথেড্রালটি নিশ্চিহ্ন হওয়া থেকে রক্ষা করতে আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে ড্রোনগুলো। এগুলো না থাকলে আরও ক্ষতি হতো।   
গ্যাব্রিয়েল প্লাস’র ভাষ্য, ভয়াবহ আগুন থেকে নটরডেম ক্যাথেড্রালের ৮৫০ বছরের প্রাচীন গোথিক অবকাঠামোকে রক্ষায় দমকল বাহিনী প্রায় ৫০০ সদস্য কাজ করলেও এতে নায়োকচিত অবদান রেখেছে ড্রোন ও একটি রোবট। অগ্নিনির্বাপক রোবটটির নাম কোলোসাস। 
আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হওয়া ওই অমসৃণ রোবটটি তৈরি করেছে ফ্রান্সের টেক প্রতিষ্ঠান শার্ক রোবটিকস। রোবটটিতে রয়েছে একটি মোটর নিয়ন্ত্রিত জলকামান। ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুর্ণায়মান ২৫ এক্স জুম উচ্চমানের একটি ক্যামেরাও রয়েছে এই রোবটের শরীরে। ‘কোলোসাস’রোবটটি ৫০০ কেজির মতো ওজন বহন করতে সক্ষম। যদিও ধীর গতির ‘ক্লোসাস’ রোবটটি ঘণ্টায় সাড়ে ৩ কিলো চলতে পারে তবে এটি সব ধরনের তলেই চলতে সক্ষম।
আগুনের লেলিহান শিখা বশে আনতে হেলিকপ্টারের চেয়ে রোবট ও ড্রোন বেশি কাজে দিয়েছে। ক্যাথেড্রাল রক্ষায় তাদের ব্যবহৃত ড্রোনগুলো ছিলো ডিজেআই ম্যাভিক প্রো এবং ম্যাট্রিক এ২১০। এগুলো ড্রোন পরিচালকদের আগুনের খুব কাছ থেকে তাৎক্ষণিক উপাত্ত সরবরাহ করেছে। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে আগুন যেন আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ড্রোনগুলোতে সংযুক্ত থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরাগুলো ধোঁয়ার ভেতরেও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সনাক্তে সহযোগিতা করেছে।