মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, দেশীয় উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আর এ জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন উদ্যোগে সহায়তাও করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ তহবিল আগামীতে আরও বাড়বে। আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এবং প্রকল্পের পক্ষ থেকে ভেঞ্চার বিনিয়োগের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ নামে কোম্পানি তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জের বিজয়ীদেরও সরকারের পক্ষ থেকেও সুবিধা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, টাইগার আইটি, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ইলিয়া নিকিফোরোভ, টাইগার আইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের কল্যাণে অবদান রাখবে এমন যেকোনও টেকসই ও উদ্ভাবনী ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতেই এ প্রতিযোগিতা। আয়োজনটি হবে দু’টি পর্বে। বাংলাদেশ পর্বে ফাইনালিস্টদের মধ্যে থেকে একটি উদ্যোগকে সেরা ঘোষণা করা হবে। উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজয়ীকে প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়া হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চ্যালেঞ্জের ওয়েবসাইটে (http://tigeritfoundation.org/challenge) আবেদন করা যাবে। অনলাইন প্রাপ্ত আবেদন এমআইটির বিচারকরা যাচাই করে ১০টি উদ্যোগকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করবেন। আগামী অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ডের সামনে ফাইনালিস্টরা তাদের উদ্যোগ তুলে ধরবেন এবং নির্বাচিত হবেন। ছাত্র, শিক্ষাক, স্টার্টআপ কোম্পানি কিংবা হবু উদ্যোক্তা- যেকেউ এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারবে।