৯ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘট উবার চালকদের

উবার৯ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার ঘর্মঘট পালন করছেন উবার চালকরা। রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। উবার কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়ম ও চালকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে এ ধর্মঘট আহ্বান করেছে বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম আহমেদ শুভ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘উবার আমাদের ওপর বিভিন্নভাবে শোষণ করছে।  জুলুম করছে। আমরা অনেকদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা কিছুই আমলে নিচ্ছে না। আমরা এর প্রতিবাদে আগে ৮ দফা দাবি জানিয়েছি। এবার তার সঙ্গে আরও এক দফা যোগ হয়ে ৯ দফা হয়েছে।

‘আমাদের দাবিগুলো হলো: উবারের ওয়ে বিল অনুযায়ী ট্রিপ শুরু করা থেকে শেষ পর্যন্ত কিলোমিটার ও মিটার হিসাব করে ভাড়া দেওয়া।  কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই ভাড়া বাড়াতে হবে। চালকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও যাত্রী দ্বারা গাড়ির ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। যাত্রীদের করা অভিযোগ যাচাইয়ের নাম করে চালকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া যাবে না। যাত্রীর অ্যাকাউন্টে ছবি বাধ্যতামূলক থাকতে হবে এবং যাত্রীকে লোকেশনের ব্যাপারে প্রাথমিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যে যাত্রীর সঙ্গে চালকদের সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। চালকদের গন্তব্যের ক্ষেত্রে শতভাগ গন্তব্যের আশপাশে ট্রিপ দিতে হবে এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টার বেশি অনলাইনে থাকা যাবে না, এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা।’

এই সংগঠনের আরেক নেতা মো. শামীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। আশা করি উবারের সব চালক এতে সাড়া দেবেন। ধর্মঘট শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে ফোনে অনেক সাড়া পাচ্ছি।’

তবে রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে উবার অ্যাপে অনেক চালককে সক্রিয় দেখা গেছে। উবার মটো, এক্স ও প্রিমিয়াম চালকদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

উবার চালক রবিউল ইসলাম রবিবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি গাড়ি বন্ধ রাখার বিষয়টি (ধর্মঘট) জানি না। আমাকে একজন ফোন করে বলেছেন গাড়ি বন্ধ রাখতে। এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি কী করবো।’

এদিকে, অ্যাপ বন্ধ রাখা বা ২৪ ঘণ্টার জন্য গাড়ি চালানো বন্ধ রাখার বিষয়ে উবার বাংলাদেশের টিম লিড জুলকার নাইনের মোবাইলে ফোন করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে উবারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাইডার ও ড্রাইভার-পার্টনার কমিউনিটির অল্প সংখ্যক ব্যক্তির কারণে সৃষ্ট বিঘ্নের জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা শহরকে সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঢাকাজুড়ে রাইডারদের সুবিধাজনক ও বিকল্প দিতে আমাদের অংশীদাররা যাতে স্থিতিশীল উপার্জন করেন, তা নিশ্চিত করছি। আমাদের পার্টনার সেবাকেন্দ্র ও অ্যাপে মতামত প্রদানের মাধ্যমে চালক-অংশীদারদের বিভিন্ন অভিযোগ ও ইস্যু সমাধানের প্রক্রিয়া রয়েছে।