মুজিব বর্ষের আয়োজন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অগ্রগতি, অবস্থান এবং পরিকল্পনা তুলে ধরতে সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র আয়োজন করছে। এবছরের ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী এই মেলা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। মেলা আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করছে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি। মুজিব বর্ষ পালনের উদ্যোগ হিসেবে এই মেলার অয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। প্রাথমিকভাবে মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’।

১৬ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে (১৮ জানুয়ারি) প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।  

মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন, প্যাভিলিয়ন থাকবে বলে জানা গেছে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা- ডাক বিভাগ, বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে। এছাড়া আইএসপি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটরসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি প্রদর্শন করবে।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে কী তা মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। তবে আয়োজনে থাকবে ভিন্নতা। মেলায় প্রাধান্য পাবে ফাইভ-জি। ফলে মেলায় এলেই লাইভ দেখা যাবে ফাইভ-জি।’

জানা গেছে, মেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মেলায় ১৩টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে দেশি ও বিদেশি অভিজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে কথা বলবেন। ট্যালেন্ট গ্যাপ, ডিজিটাল অর্থনীতি, ডিজিটাল গ্রোথ, স্মার্ট সিটি, এসডিজির অ্যাচিভমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে বক্তারা কথা বলবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলার আয়োজক আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশই শেষ কথা নয়, এরপরে কী- তারও একটা গতিপথ মেলায় তুলে ধরা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলছি কিন্তু এরও তো একটা শেষ আছে। তাহলে ওই শেষেই সব শেষ? এরপরে আর কিছু থাকবে না? সেভাবনার একটা প্রদর্শনীও হয়ে যাবে মেলায়। মেলায় এলে কেউ হতাশ হবেন না এটুকু বলতে পারি।’

আমিনুল হাকিম জানান, মেলায় ৩৫ থেকে ৪০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। এছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ অনুষ্ঠানসহ এর ব্যবহার উপযোগিতা।