কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি গুগলের

গুগলগুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়েছেন। ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে তিনি জানান, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে তা কোনও আইন চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নয় বরং বিষয়টিকে সুন্দর একটি বুদ্ধিদীপ্ত ধারায় চালানোর জন্য। বিশেষত স্বচালিত গাড়ি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষভাবে জোর দেন তিনি।

এদিকে বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কমিশন ফেস রিকগনিশনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। আবার এ মাসের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস থেকে তাদের নিজস্ব একটি নিয়ন্ত্রক নীতি প্রকাশ করে এবং ইউরোপকে চাপ দেয় বড় রকমের নতুন কোনও বিধ্বংসী মডেল তৈরি না করার জন্য। পিচাই জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাতে যেমন অনেক সম্ভাবনা আছে আবার এর পেছনে রয়েছে বিধ্বংসী সম্ভাবনাও। উদাহরণ হিসেবে তিনি ডিপফেকের অপব্যবহারের কথা বলেন।

প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারস’র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রধান মারিয়া এক্সেনটি বিবিসিকে বলেন, একে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো বিষয়টিকে কিভাবে ধ্বংসের হাত থেকে এড়িয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পথে পরিচালিত করা যায়। কেননা কোনও কোড অফ এথিকস’র মাধ্যমে বিধান তৈরি করাই এর সমাধন নয় বলে তিনি মনে করেন।

গুগল ২০১৯ সালে তাদের নিজস্ব স্বাধীন নীতিমালা তৈরি করে। কিন্তু কাকে এখানে নিযুক্ত করা হবে এই বিতর্কে এটি দুই সপ্তাহ পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়।