‘টি-ভাস’ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করলো বিটিআরসি

বিটিআরসিদেশের মানুষকে সঠিকভাবে মূল্য সংযোজিত সেবা দিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ১৮৩টি টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেস- ‘টি-ভাস’ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে গাইডলাইন মেনে সেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এ উপলক্ষে বিটিআরসির লাইসেন্সিং বিভাগ একটি নোটিশ জারি করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক হয়ে জনগণকে সেবা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ার করেছে সংস্থাটি।

বিটিআরসি দেশের ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘টি-ভাস’ লাইসেন্স দিয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টি-ভাস রেগুলেটরি গাইডলাইন মেনে স্বচ্ছতা, ন্যায় ও বৈষম্যহীন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নীতিমালার যথাযথ বিবেচনায় সাধারণ জনগণকে নিরাপদ, উপযোগীমূলক, দক্ষ সর্বজনীন ও সাধ্য অনুযায়ী টি-ভাস সেবা দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৯ জুলাই বিটিআরসির লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক আফতাব মো. রাশেদুল হক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে আরও বলা হয়, গাইডলাইনে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সেবাদান কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে অধিকতর যত্নবান হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। শর্ত মেনে না চললে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে লাইসেন্স প্রাপ্ত (টেলিযোগাযোগ মূল্য সংযোজন সেবা বা টি-ভাস) প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান গাইডলাইনের শর্ত মানছে না বলে আমরাও শুনেছি। মূলত ওইসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে এই নোটিশ জারি করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েই তাকে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে সাবস্ক্রাইব করে নেন, মেসেজ না পাঠিয়ে গ্রাহক করে ফেলেন— এসব অভিযোগ রয়েছে। অনেকে বেশি চার্জ নিয়ে থাকে। হয়তো সেই চার্জ বিটিআরসি থেকে অনুমোদন নেওয়ার চেয়ে বেশি। মূলত এসব শর্ত যারা মানছে না, তাদের সতর্ক করা হয়েছে এই নোটিশের মাধ্যমে।