দেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেকিং কর্মসূচিতে যুক্ত হলো এএফপি-ফ্যাক্ট ওয়াচ

বাংলাদেশে ফেসবুকের মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো রোধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফেসবুকের থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এর আন্তর্জাতিক পার্টনার এএফপি ও বাংলাদেশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ওয়াচ। ২০২০ সালে বাংলাদেশে ‍বুম-এর সঙ্গে প্রথম এই প্রোগ্রামটি শুরু করে ফেসবুক।  এখন যুক্ত হলো এএফপি ও ফ্যাক্ট চেক। সোমবার (২৪ মে) গণমাধ্যমে ফেসবুক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থার্ড পার্টির ফ্যাক্ট-চেকাররা যদি কোনও কনটেন্ট বা স্টোরিকে অসত্য, পরিবর্তিত কিংবা আংশিক অসত্য হিসেবে চিহ্নিত করে তখন তা নিউজফিডে কম প্রদর্শিত হবে। ইনস্টাগ্রামও এ ধরনের স্টোরি এক্সপ্লোর ও হ্যাশট্যাগ পেজগুলোতে ফিল্টার করে দেখাবে এবং তা ফিডের নিচের দিকে থাকবে। যদি কোনও পেজ বা ডোমেইন বারবার ভুয়া খবর শেয়ার করে তাহলে তার পোস্ট ডিস্ট্রিবিউশন কমে আসবে এবং তাদের পেইজের মনিটাইজেশন ও বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।  

এছাড়া ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে থাকা যেসব কনটেন্টকে ভুয়া কিংবা সত্য থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সেগুলোর উপরে বিশেষ লেবেল দেওয়া হয়। যাতে করে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা নিজেরাই ঠিক করতে পারেন তারা কী পড়বেন, বিশ্বাস করবেন এবং শেয়ার করবেন।  ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত অসত্য ও বানোয়াট ছবি, ভিডিও এবং স্টোরির উপরের অংশে এই লেবেলটি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ফ্যাক্ট-চেকাররা কী যাচাই করেছে তার লিংকও দেওয়া থাকে।

ফেসবুক এশিয়া প্যাসিফিকের নিউজ পার্টনারশিপের পরিচালক অঞ্জলি কাপুর বলেন, ‘ভুয়া খবর শেয়ার করা প্রতিরোধে ফেসবুকের চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে এএফপি ও ফ্যাক্ট ওয়াচের সঙ্গে এই পার্টনারশিপ। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, আইএফসিএন ও আমাদের ফ্যাক্ট-চেকিং পার্টনাররা এ উপলক্ষে সোমবার (২৪ মে) এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করছেন। তারা মহামারির সময়ে তথ্য যাচাইকরণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন। সবার সম্মিলিত এই উদ্যোগটিকে আমরা স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে তথ্য সচেতন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’