মেটার ইতিহাসে প্রথম পতন

মেটার ইতিহাসে এই প্রথম রাজস্ব পতনের ঘটনা দেখা গেলো। সম্প্রতি তাদের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্টে এই দুঃসংবাদটি দেখা যায়। মূলত মুদ্রাস্ফীতির কারণে ডিজিটাল অ্যাড সেলে এই বিপর্যয়টি ঘটে। মেটা জানায়, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই পতন হতে পারে ২৬ বিলিয়ন এবং ২৮.৫ বিলিয়ন ডলার। এদিকে রিফিনিটিভের আইবিইএস এর ডাটা অনুযায়ী বিশ্লেষকরা ধারণা করছে এর পরিমাণ ৩০.৫২ বিলিয়ন ডলার।

রেফিনিটিভ জানায়, অনেকটাই অ্যাড সেল নির্ভর পুরো রেভিনিউ দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এক শতাংশ কমে হয়েছে ২৮.৮ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ছিল ২৮.৯ বিলিয়ন ডলার। এদিকে ব্যবহারকারীর বৃদ্ধি নিয়েও মিশ্র ফল দেখা গেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী পাওয়া গিয়েছে ২.৯৩ বিলিয়ন যা বছরের হিসেবে এক শতাংশ বৃদ্ধি। এদিকে দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৯৭ বিলিয়ন।

অবশ্য নতুন মুদ্রা বিনিময় হার থেকে মেটা আশা করছে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এর রেভিনিউ ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে মেটা এখনও আশা করছে অনলাইন অ্যাড সেলই তাদের ভবিষ্যৎ। আবার একই সময়ে গুগলের রেভিনিউ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে স্ন্যাপ এবং টুইটারের সংবাদ ভালো নয়। আগামী ত্রৈমাসিকেও ভালো খবর আসবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।

অর্থনৈতিক চাপ ছাড়াও মেটার মূল ব্যবসায় আরেকটি চাপের কারণ হয়েছে টিকটক। আবার গত বছর অ্যাপলের বিজ্ঞাপনের ওপরে প্রাইভেসি কন্ট্রোলের কারণেও চাপের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে মেটাভার্সের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের দিকেও যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে হচ্ছে তাকে। তবে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে রিল নামে তাদের শর্ট ভিডিও পণ্যটি। এটি আপাতত বছরে এক বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আনছে।