ফ্যাক্ট চেকার ২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট-চেকার দুই প্রতিষ্ঠান বুম বাংলাদেশ ও ফ্যাক্ট ওয়াচের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতমূলক আচরণ’-এর অভিযোগ করেছেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও কলামিস্ট মোহাম্মদ এ আরাফাত।

তিনি জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো রোধে কাজ করা থার্ডপার্টি ফ্যাক্ট চেক করা দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে শেয়ার করা বাংলা কিংবা ইংরেজিতে লেখা পোস্ট, ছবি ও ভিডিওর সত্যতা যাচাই এবং রেটিং করে। ফ্যাক্ট-চেকার এই প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কোনও কনটেন্ট বা স্টোরিকে অসত্য, পরিবর্তিত কিংবা আংশিক অসত্য হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে ফেসবুক সেটি রেট করে এবং মিথ্যা তথ্য হলে ফলস ইনফরমেশন (মিথ্যা তথ্য) লিখে ফ্ল্যাগ করে দেয়।

তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে বলে জানান সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।

গত ৭ অক্টোবর ‘নাগরিক টিভি নামের ভুয়া একটি ফেসবুক পেজ’ থেকে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাতকে নিয়ে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, ওই প্রতিবেদনে অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে একাধিক মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়। নাগরিক টিভির ওই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে অনেকেই ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বুম বিডি ও ফ্যাক্ট ওয়াচকে অনুরোধ জানালেও তারা এই ব্যাপারে কোনও সাড়া দেয়নি। কেউ কেউ তথ্য-প্রমাণসহ প্রতিবেদনটির মিথ্যা দিকগুলো ধরিয়ে দেওয়ার পরেও ওই দুটি প্রতিষ্ঠান নিরব থাকে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অধ্যাপক সুমন রহমান বলেন, ‘অভিযোগটি অমূলক বলে আমরা মনে করি। ফ্যাক্টওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক’র (আইএফসিএন) সিগনেটরি হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ফ্যাক্টচেকার প্রতিষ্ঠানের বিরূদ্ধে কোনোধরনের পক্ষপাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইএফসিএন তার সদস্যপদ খারিজ করে। এতে করে ফেসবুকের সঙ্গেও থার্ড পার্টি হিসেবে চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক আরাফাতের যদি সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকে, তিনি সেটি সরাসরি আইএফসিএন-কে জানাতে পারেন। ফেসবুককেও জানাতে পারেন। ফ্যাক্টওয়াচের পেজেই ওদের কাছে অভিযোগ জানানোর লিংক আছে।’

ফ্যাক্টওয়াচ অতীতে বহুবারই সজীব ওয়াজেদ জয়সহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে চালানো বিদ্বেষমূলক প্রচারণা ‘ডিবাংক’ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পেলেই সেটা করা সম্ভব। ফ্যাক্টচেকারদের কাজটি মূলত এভিডেন্স বেইজড বা প্রমাণনির্ভর। যেকোনও অভিযোগের পক্ষে বা বিপক্ষে যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকে, সেটিকে ফ্যাক্টচেকারের পক্ষে রেট করা সম্ভব হয় না।’