যে কারণে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ অ্যাপলের হাতে

একটি খাওয়া আপেল বদলে দিয়েছে প্রযুক্তি দুনিয়া

ইতিহাস বদলে দেবে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাপল, দিয়েছেও। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বাজারে ছেড়েছে আইফোনের দু’টি মডেল ও অ্যাপল ওয়াচ। এতো নতুনের ভিড়েও যা এনে দিয়েছে ভিন্ন আমেজ। আইফোন-৬ বড় মনিটর নিয়ে বাজারে আসার পর স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-ফাইভ আরও বড় মনিটর তৈরি করে ফেলে। তারপরই অ্যাপল নিয়ে এলো আইফোন সিক্স-প্লাস। যা শুধু মনিটরই নয় সব কিছুতেই বাজারে ৪টি সেরা ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে গেলো।

সব বাধা পেরিয়ে…
সব প্রতিষ্ঠান পণ্যের মূল্য কমবেশি নিয়ে মাথা ঘামায়। ব্যতিক্রম অ্যাপল। দাম নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই অতটা। অন্য প্রতিষ্ঠান যেখানে বাজারে টিকে থাকতে দাম কমানোকেই ভরসা মনে করে সেখানে অ্যাপল ব্যস্ত আবিষ্কার নিয়ে। আর এ কারণে এখনও দাপটের সঙ্গে টিকে আছে স্টিভ জবসের গড়া প্রতিষ্ঠানটি।

অন্যদের জন্য ভয়ের কারণ…

কয়েক বছর আগেও মানুষ বলত যে, কোনও স্মার্টফোনের ক্যামেরা ভাল ভিডিও করতে পারে না। এই ধারণা পাল্টাতে আইফোন এমন ক্যামেরা ব্যবহার করল যাতে প্রতি সেকেন্ডে ২৪০ ফ্রেম ভিডিও-ও করতে পারে। রীতিমতো ছোটখাট ভিডিও ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়া ভাতে ছাই বলা যায়। বাজার গবেষণায় দেখা গেছে, আইফোনের উন্নতমানের ক্যামেরার কারণে বিক্রি কমছে ডিএসএলআর-এরও।

মানুষের কাছাকাছি…

মোবাইলফোনের সুবিধার বাইরেও অ্যাপল ওয়াচ দিচ্ছে হৃদস্পন্দন মনিটর, জাইরোস্কোপ কম্পাস। আছে গতিমাপক একসিলারোমিটারও। অর্থাৎ অ্যাপল মানুষের শরীর স্বাস্থ্য নিয়েও মাথা ঘামায়। কোনও দিক দিয়েই দুর্বলতা রাখতে রাজি নয় তারা।

এমনকি চার্জেও…

চার্জিং জগতেও অ্যাপলের রাজত্ব। অ্যাপলের অনেক পণ্যে চার্জ দেওয়া যায় তারের সংযোগ ছাড়াই। এমনকি চার্জারের প্লাগটাকে ফোনের পাশে রেখেও চার্জ দেওয়া সম্ভব। ফোনের ভেতর থাকা যন্ত্রই টেনে নেবে বিদ্যুৎ।

পরিশেষে বলা যায়, স্মার্টফোন জগতে নতুন কী এলো তা দেখতে প্রযুক্তিপ্রেমীরা কিন্তু অ্যাপলের দিকেই তাকিয়ে থাকে। আর এ আকাঙ্ক্ষা যতদিন থাকবে, ততদিন অ্যাপলই দেখাবে ভবিষ্যৎ।

/এইচএএইচ/