ইন্টারনেটে বিপদের হাজারও হাতছানি। একটি ভুল লিংকে ক্লিক করেছেন তো পস্তাতে হবে সারাজীবন। ইন্টারনেটে কীভাবে নিরাপদ থাকবেন তার কিছু পদ্ধতি বাতলে দেওয়া হলো।
মাঝে মাঝে আপডেট
যদি আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার, বা অন্যান্য সফটওয়্যারের মধ্যে দুর্বলতা থাকে তাহলে বিপদ হতে পারে। তাই মাঝে মাঝে আপডেট দিন। জাভা এবং অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট প্রতি সপ্তাহে আপডেট করা একটি ঝামেলা। তবুও আপডেট রাখুন।
অ্যান্টিভাইরাস আপডেট রাখা।
অ্যান্টিভাইরাস আপডেট রাখাটা খুবই জরুরি। ৯০ শতাংশেরও বেশি ভাইরাস আটকাবে এই সফটওয়্যার। বিটডিফেন্ডার অথবা ইন্টেল ম্যাকআফির জন্য ৩০ থেকে ৬০ ডলার খরচ হবে প্রতি বছর।
স্ক্যাম-এর পাল্লায় পড়বেন না
ই-মেইলে চাকরি বা লটারির লোভ দেখিয়ে আসতে পারে কোনও মেইল, সঙ্গে থাকবে একটি লিংক। যেখানে চাইতে পারে আপনার ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড। ভুলেও এ ধরনের স্ক্যাম এর খপ্পরে পড়বেন না।
নতুন ভিডিও প্লেয়ার নয়
অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক সাইট বা বিটটরেন্ট সার্চ করেন। অধিকাংশ সময় এসব সাইটে বার্তা আসে যে আপনার ফ্ল্যাশ প্লেয়ারের তারিখ শেষ হয়েছে নতুন ভিডিও প্লেয়ারটি ইনস্টল করুন। এটা করবেন না, কারণ এর মাধ্যমেই ভাইরাস ঢুকে পড়বে।
সুরক্ষিত করুন ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড
অধিকাংশ মানুষই জানে না ওয়াইফাই এ দুটি পাসওয়ার্ড থাকে। একটি নেটওয়ার্কের জন্য– যেটা দিয়ে আপনি নতুন ডিভাইস থেকে লগ-ইন করবেন। অন্যটি রাউটারের জন্য যা দিয়ে নেটওয়ার্ক সেটিংস পরিবর্তন করবেন। অনেকেই শুধু প্রথমটি নিয়েই মাথা ঘামায়, দ্বিতীয়টি নয়। ফলে আপনার হোম নেটওয়ার্ক পরিসীমায় থাকা কোনও হ্যাকার চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করে দিতে পারবে।
ফ্রি ওয়াইফাই পেয়ে খুশি হবেন না
জনাকীর্ণ ক্যাফে বা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে গেলে দেখতে পাবেন প্রচুর ফ্রি ওয়াই-ফাই হটস্পট। এর মধ্যে কিছু সঠিক এবং কিছু ফেক। আপনকে সঠিক ওয়াইফাই-হটস্পট নেটওয়ার্কের নাম খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায় আপনার নেটওয়ার্কের হ্যাক হতে পারে।
/এইচএএইচ/