ফেসবুকে কে কেমন?


ফেসবুক ব্যবহারকারীকে কতটা সক্রিয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত তা ব্যবহারকারীদের ওয়াল দেখলেই কিছুটা বোঝা যায়। সাধারণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে-সঙ্গে আছে কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহারকারী। যাদের স্ট্যাটাস বা অন্যান্য মন্তব্য দেখে আলাদা করা যায়। এমন কিছু নেটওয়ার্কারের ধরন জানা যাক। 

ধামাধরা ব্যবহারকারী

এ ধরনের ব্যবহারকারী হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ঢোকেন এবং হঠাৎই অন্যের ওয়ালে বিব্রতকর কিছু লেখে ফেলেন। যেমন: কারও এলাকার ডাকনাম ধরে কোনও মন্তব্য করা বা ব্যক্তিগত কোনও তথ্য ওয়ালে পোস্ট করা। এসব ব্যবহারকারী থেকে দূরে থাকতে আপনি আপনার প্রোফাইল সংরক্ষিত করে রাখতে পারেন।

বড়াইকারী ব্যবহারকারী

এ ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিজেদের অনেক বড় মনে করেন। দার্শনিকের মতো বড়-বড় অগ্নিঝরা মন্তব্য লেখে। কে-কে তার লেখা বা মন্তব্য দেখে বিব্রত হয় সে নিয়ে তার কোনও মাথাব্যথা থাকে না। খুব সহজে এদের এড়িয়ে চলতে পারেন ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ডিলিট করে।

‘মেমে’ প্রজন্ম

এ ধরনের প্রজন্ম একজনের কোনও স্বভাব থেকে অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন উদ্ভট নামের ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনও কখনও কৌতুক পোস্ট করেন। যা অনেক সময় মামুলি টাইপের হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময় তাদের এমন কাজ দেখে মনে হয় তাদের পেশা-ই হয়ত এটি।


জিম-র‌্যাট প্রজন্ম

এসব ব্যবহারকারীকে দেখলে মনে হবে, তাদের চেয়ে ব্যস্ত আর কেউ পৃথিবীতে নেই। অসমাপ্ত ভাষায় স্টাটাস লেখে এবং মনে হয় দৌড়তে-দৌড়তে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে।


সবজান্তা ব্যবহারকারী

এ ধরনের ব্যবহারকারীদের স্ট্যাটাস দেখে মনে হয়, তারা সব জানেন এবং এমন সব বিস্তারিত মন্তব্য লেখেন, যেন মনে হয়, নেটওয়ার্কের সবাই তার দলে। অবশেষে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান তারা।

দাম্ভিক ব্যবহারকারী

কখন কী খাচ্ছেন বা কোন বিমানবন্দরে নামছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে দিয়ে থাকেন এ ধরনের ব্যবহারকারী। পরিবারের কেউ-কেউ হয়ত নিজেদের সদস্যের এসব স্ট্যাটাস সহ্য করবেন কিন্তু অন্য বন্ধুরা?

রি-পোস্টার প্রজন্ম

কোনও হৃদয় বিদারক দৃশ্য বা ঘটনা তুলে ধরে সবাইকে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করেন এ ধরনের নেটওয়ার্কাররা। কারও অসুস্থতা তুলে ধরে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেন বা অন্যদের জানাতে অনুরোধ করেন।  

/এমএনএইচ/