‘হাউজ অব ওয়াক্স’ থেকে শুরু করে অ্যাভাটার-এর মতো থ্রিডি এডভেঞ্চার মুভিগুলো সিনেমা হল কাপাচ্ছে এই আধুনিক যুগে এসে। তবে থ্রিডি প্রযুক্তির উদ্ভব সেই পঞ্চাশের দশকে।
১৯৫০ সালে প্রথম থ্রিডি মুভি আসে যেই সময়টাকে, সেটি সময়টাকে থ্রিডি’র স্বর্ণযুগ বলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব অর্থনীতি যখন উর্ধ্বমুখী তখন সবাই প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত হতে শুরু করে।
শিশুদের কমিক বই পড়ার জন্য তখন থ্রিডি চশমা বাজারে হট কেক। নতুন এ প্রযুক্তি মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর বিশেষ করে ভৌতিক সিনেমাগুলো থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে। দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলা থ্রিডি প্রযুক্তি প্রখ্যাত মার্কিন পরিচালক অ্যারফ্রেড হিচককও তার একটি থ্রিলার মুভি ‘ডায়াল এম ফর মার্ডার’ এ যুক্ত করেন।
তবে থ্রিডি মুভির প্রচলন ১৯৫০ সালের দিকে হলেও এর অনেক আগে ১৯৩৬ সালে হলিউডের ‘অডিওস্কপিক্স’ থ্রিডি মুভিটি একাডেমিক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়। সেসময় লাল-নীল রংয়ের সমন্বয়কে উজ্জ্বল করে চোখের সামনে ফেলার জন্য থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত। তবে এ সময়টিকেই থ্রিডি প্রযুক্তির সূচনা যুগ হিসেবে বলা যায় না, কারণ মুভিতে থ্রিডির প্রচলন আরও আগে।
১৯২২ সালে থ্রিডি প্রযুক্তি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু করা হয় ‘দ্য পাওয়ার অব লাভ’ সিনেমা দিয়ে। দীর্ঘদিন আগের মুভিটি এখনও সংরক্ষিত আছে তবে সঠিকভাবে বা উন্নত প্রযুক্তির অভাবে সিনেমাটির বেশি ভাগ অংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
/এনএস/