‘সৃজনশীল জাতি গঠনে শিশুদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের সামাজিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে আগামী দিনের মেধাবী ও সৃজনশীল জাতি বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাবা-মা, শিক্ষকদের সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তিনি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন যত সম্প্রসারিত হবে, অপরাধও তত বেশি বাড়বে। এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ‘অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও আইনি পর্যালোচনা’ বিষয়ক আইন ও সালিশ কেন্দ্র আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র কর্মকর্তা রোকসানা সুলতানা, আইএসপিএবি সভাপতি এমএ হাকিম এবং লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ ডেটা সুরক্ষা ও প্রাইভেসি সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেটা সুরক্ষা ও সোশ্যাল মিডিয়া আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।’ যথাযথ পরামর্শ ও মতামত নিয়ে আইন সংশোধন করা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শিশু-কিশোরদের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে সরিয়ে নয়, বরং প্যারেন্টাইল গাইডলাইন ব্যবহার করে তাদের ডিজিটাল অপরাধ থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সুফল তুলে ধরে মন্ত্রী  বলেন, ‘করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণিত হয়েছে।’ 

অনুষ্ঠানে বক্তারা শিশুদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের দৃষ্টি রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।