ই-কমার্স চালু, খাদ্য পরিবহন ও ডেলিভারিতে বাধা নেই

লকডাউনে ই-কমার্স চালু থাকবে। করোনা  সংক্রমণ রোধে  স্বাস্থ্যবিধি মেনে ই-কমার্সের মাধ্যমে খাদ্য, অন্যান্য সামগ্রী পরিবহন ও ডেলিভারি দেওয়া যাবে। অনলাইনে কেনাবেচাকে উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।  এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক (ডাব্লিউটিও সেল) মো. জিয়াউর রহমানের সই করা  নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ১২ এপ্রিল জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের অনুচ্ছেদের (ড) আলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেল জনস্বার্থ বিবেচনায় ই-কমার্স পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে।

নির্দশনায় বলা হয়, ই-কমার্সের ডেলিভারিম্যানরা দুপুর ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবেন।  ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়্যারহাউজ খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ই-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টগুলো দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইনে পার্সেলের মাধ্যেমে খাবার ডেলিভারি দেওয়া যাবে।  সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শুধু রান্নাঘর চালু রাখা যাবে।  কখনও রেস্টুরেন্টে অবস্থান করে বা বসে খাওয়া দাওয়া করা যাবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ডেলিভারিম্যান কখনোই রেস্টুরেন্টের কিচেনে প্রবেশ করতে পারবেন না।  কিচেনের বাইরে থেকে খাবার গ্রহণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

নির্দেশনায় বলা হয়, ডেলিভারিম্যান ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। আর এর জন্য নিয়োজিত ডেলিভারিম্যান ও যানবাহনের জন্য ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) তাদের লোগো ও সিরিয়াল নম্বর সংবলিত পরিচিতিমূলক স্টিকার বা পরিচয়পত্র প্রদান করতে পারবে। ই-ক্যাব তার সদস্যদের প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জারি করা এই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।