ফেসবুকে ভুয়া তথ্যে মানুষের অংশগ্রহণ বেশি

ভুয়া তথ্য বা সংবাদ সাধারণত মুখরোচক হয়। মানুষের নজরও কাড়ে বেশি। ব্যাপারটা ফেসবুকের ক্ষেত্রেও সত্য। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ও ফ্রান্সের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে এমনই প্রমাণ পেয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে— লাইক, শেয়ার বা অন্যান্য ইন্টারঅ্যাকশনের ক্ষেত্রে সঠিক কোনও সংবাদের চেয়ে ভুয়া সংবাদে ছয়গুণ বেশি মানুষের অংশগ্রহণ থাকে।

ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি সংবাদ প্রকাশকের ফেসবুক পেজ নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, রাজনৈতিক বা অন্যান্য ক্যাটাগরির সংবাদের তুলনায় ভুয়া তথ্য বা সংবাদ অনেক বেশি গতিতে ছড়াচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার জানায়, গবেষণায় প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডাটা, ডেমোক্রেসি ও পলিটিকস বিভাগের পরিচালক রেবেকা ট্রম্বল বলেন, ‘এই গবেষণার মাধ্যমে একটি বিষয় আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, ঠেকানোর অনেক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও ভুয়া সংবাদ বেশ ভালো অবস্থানেই থাকে এবং দর্শককে বেশ ভালোভাবেই তা আকৃষ্ট করতে পারে।’

এদিকে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জো অসবোর্ন জানান, এই রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, কীভাবে মানুষ কনটেন্টের সঙ্গে এনগেজ হয়। তবে এভাবে বিভ্রান্ত হওয়া ঠিক হবে না, মানুষ আসলে গবেষণার বক্তব্যের মতোই বিষয়গুলোকে দেখছে। অর্থাৎ এই গবেষণার কথা মতোই বিষয়গুলো যে পুরোপুরি সেরকমই তাও ঠিক নয়।