এক দেশ এক রেট

জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের লক্ষ্য অর্জন করলো বাংলাদেশ

ইন্টারনেটের দামে (এক দেশ এক রেট) জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের লক্ষ্য অর্জন করায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সোমবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়,জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি)২০২৫ সালের মধ্যে ইন্টারনেট খরচ মাথাপিছু আয়ের ২ শতাংশের নিচে হতে হবে। বাংলাদেশে মাসিক ইন্টারনেট খরচ মাথাপিছু আয়ের ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ২০২১ সালেই এই লক্ষমাত্রা অর্জন করেছে। ২০২১ সালে ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। আইটিইউ (আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়ন) ও অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের (এফোরএআই) গত ১৭ মার্চ প্রকাশিত ‘দ্য অ্যাফোর্ডেবিলিটি অব আইসিটি  সার্ভিসেস ২০২১’ নামের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্জনটি প্রকাশিত হয়।

সভায় আরও  জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাদেশসহ ৪টি দেশ লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছে। অন্য তিনটি দেশ হলো— ভূটান, মিয়ানমার ও নেপাল।

অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। তিনি বলেন, ‘এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই দামটা যেন মেনটেইন করা হয়। কোনোভাবেই যেন দামটা বেড়ে না যায়।’

মতবিনিময় সভায় এ অর্জন নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘জাতিগতভাবে আজকের দিনটা আমাদের জন্য গর্বের। অহংকার করার মতো একটা দিন আজ।’

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনে আমাদের ব্রডব্যান্ডের যে চাহিদা হবে, তা মেটানোর সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে বা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে দেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হবে। তার আগে যে চাহিদা হবে তা দুটি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে পূরণ করা যাবে। এছাড়াও ব্যাক-আপের ব্যবস্থা আছে। ফলে ইন্টারনেটের কোনও সমস্যা হবে না।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিটিআরসির কমিশনার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ৩৪৪০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে।