অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এম এ মুবিন খান।
এই পোর্টালের মাধ্যমে দেশের যেকোনও পর্যায়ের শিক্ষার্থী তার যাবতীয় শিক্ষা বিষয়ক নোট, উপকরণ, লেকচার ইত্যাদি যে কোনও ফরম্যাটে আপলোড এবং শেয়ার করতে পারবে।
জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে, এই মূলমন্ত্রটি সবার মাঝে প্রচার করার উদ্দেশ্য নিয়েই ইএটিএল এই কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শহরাঞ্চলের সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরাই ভালমানের শিক্ষা উপকরণ পেয়ে থাকে। যা তাদের জ্ঞান ও প্রতিভাকে আরো উন্নত ও বিকশিত করে। শহরাঞ্চলে বর্তমানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্লাসে উপস্থিত হয়ে লেকচার নেয় অথবা তারা গৃহশিক্ষকের থেকে নোট পায় এবং কখনও কখনও তারা ইমেল বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মাধ্যমে। এগুলো অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করে। বই খাতা ক্লাস লেকচার নোট আদান প্রদান হয় শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্টদের মধ্যে এবং নতুন শ্রেণীতে উঠার আগ পর্যন্ত এটি চলতে থাকে। যদি শিক্ষার্থীরা এই উপকরণ গুলো অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে। যারা প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত অথবা একটা টেস্ট পেপার কেনার সামর্থ্য যাদের নেই। তারা দরকারি ম্যাটেরিয়ালগুলো এক ক্লিকে এখান থেকে পেয়ে যাবে।
পোর্টালে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন বা বিনামূল্যে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। পরবর্তীতে যে কোনও ছাত্র, শিক্ষক, বা অভিভাবকরা তাদের শিক্ষা উপকরণ আপলোড করতে লগইন করতে পারেন এবং যেকোনও কনটেন্ট ডাউনলোড করতে পারেন। শিক্ষকদের জন্য আলাদা নেটওয়ার্ক থাকবে যেখানে তারা চাইলেই তাদের লেকচার আপলোড করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমেই শিখতে পারবে। পোর্টালে কন্টেন্ট যাচাই ও বাছাই করে ওয়েবসাইটে আপ করা হবে যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাইভ দেখা যাবে। কোনও নতুন শিক্ষার্থী তার পছন্দ মতো কন্টেন্ট সার্চ বার দিয়ে খুঁজে নিতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং এই উদ্যোগ শহর ও গ্রাম অঞ্চলের মধ্যে শিক্ষা সুবিধা প্রাপ্তির বিভেদ কমাতে সাহায্য করবে।
এসময় জুনাইদ আহমেদ তার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা এবং সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কথা জানান।
/এনএস/এইচএএইচ/