আচরণ বদলাতে ‘উই ফাউন্ডেশন’!

Downloads3 (1)ছুটির দিনে সাধারণত সবাই একটু বিশ্রাম নেন অথবা পরিবারকে সময় দেন। কিন্তু একদল তরুণ বের হলেন কতগুলো রঙিন কাগজ হাতে। কাগজে হাতে লেখা ‘সকল কাজই সম্মানের’, ‘কত দিবি না? কত দিবেন?’, ‘রোজগার যার যার, সম্মান সবার’ ইত্যাদি। সঙ্গে রয়েছে সাদা ও গোলাপি রঙের হাওয়াই মিঠাই এবং পপকর্ন। উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি এবং বোঝানো যে কোনও কাজই অসম্মানের নয়। শুক্রবার দিন এভাবেই তারা এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের সামনে ফেরি করেন।

একদল তারুণ্য মানুষের সাধারণ নিত্য নৈমিত্তিক কিছু আচরণ পাল্টাতে মাঠে নেমেছেন। কাজ করছেন নিজেদের গড়ে তোলা সংগঠন ‘উই ফাউন্ডেশন’ এর ব্যানারে। ২০১১ সাল থেকে এই ফাউন্ডেশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেন প্রতিষ্ঠাতা আসিব অভি। সামাজিক প্রথাগত মনোভাব বদলানোর পাশাপাশি উই ফাউন্ডেশন কাজ করছে সুবিধাবঞ্ছিত ছেলেমেয়েদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে। বর্তমানে ঢাকার মহাখালিতে ও বগুড়ার জামিলনগরে ১১০ জন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পাঠদান এবং প্রায় ১ হাজার পরিবার নিচ্ছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এই ফাউন্ডেশন থেকে। দেশজুড়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এই সংস্থা।

এই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছেন রিয়াদ, তুহিন, কাশপি, লায়লা, রিদিতা, সানামা, আশিকুর, তানভীর, আলভি, ঈশিতা এবং নাফিসার মিলিত একটি কর্মঠ দল। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়ত করে আসছে কাইনেটিক মিডিয়ার মাসুম, অন্তর, আসিফ, তামজিদ এবং আফ্রাদ।

Downloads4 (1)

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আসিব অভি জানান, “বড় কিছু করার জন্য এটা আমাদের ছোট্ট একটা প্রচেষ্টা। একটি ধারনা বদলানোর প্রয়াস যেখানে ছোট ছোট কাজগুলোকে সমাজে অসম্মানের চোখে দেখা হয়।” তিনি আরও বলেন, সকল কাজই সম্মানের যা করে নিজের জন্য কামানো যায়। রিক্সা চালানো থেকে শুরু করে ফেরি করা কিংবা বড় কোন কোম্পানিতে চাকরি করা সকল কাজই একই সম্মান প্রাপ্য।

এছাড়া সংস্থাটির অপর সদস্য রিয়াদ বলেন,  আমরা প্রায়ই দেখি একজন রিক্সাচালকের কিংবা ফেরিওয়ালার সাথে বিরূপ আচরণ করা হয়ে থাকে, এর কারণ হিসেবে বলা যায় তাদের সঠিক কদর করতে না পারা সমাজের ব্যর্থতা। আমাদের বিশ্বাস এই ছোট উদ্যোগ কিছুটা হলেও সমাজের মনোভাবে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

/এফএএন/