X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

সমুদ্রসৈকত থেকে ৩০০ কেজি বর্জ্য অপসারণ করলেন তরুণরা

  

তারুণ্য ডেস্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:১৯আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:১৯

জনপ্রিয় পর্যটনস্থান কক্সবাজারের ইনানী। তবে আজকাল ইনানীতে পাথর ও সমুদ্রের সৌন্দর্য নষ্ট করছে প্লাস্টিক বর্জ্য। বিপন্ন সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছাসেবী তরুণের দল। মঙ্গলবার বিকালে ইনানীর সৈকতের এক কিলোমিটার অংশ থেকে এক ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করেছে ৪০ জনের দলটি। ‘আন্তর্জাতিক উপকূল পরিচ্ছন্নতা দিবস’ উপলক্ষে নারকেল বাগান সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ প্রকল্প এবং ইয়ুথ কনজারভেশন করপস (ওয়াইসিসি) এর যৌথ আয়োজনে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, র‍্যালি, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইকোফিশ-এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এসকে মোহাম্মদ সাইফ উল হক চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা ফিশারিজ অফিসার সৌরভ মাহমুদ এবং ওয়াইসিসি ফিল্ড কো-অরডিনেটর রফিকুল ইসলাম।

ইনানী সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন তরুণরা। ছবি- ওয়াইসিসি'র সৌজন্যে

সভায় বক্তারা বলেন, সমুদ্র আমাদের সম্পদ। অথচ আমাদের কারণেই সমুদ্র এবং সামুদ্রিক সম্পদগুলো আজ বিপন্ন। দিন দিন সমুদ্রে বাড়ছে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ, যা বিপন্ন করছে এর জীববৈচিত্র্যকে। এতে দূষিত হচ্ছে আমাদের বিশাল সমুদ্র উপকূল। এসব ক্ষেত্রে সমুদ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। তাদের ফেলে আসা প্লাস্টিক, জাল ইত্যাদি অপচনশীল বর্জ্য পুরো ইকো সিস্টেমকে হুমকির মুখে ফেলছে। উপকূলীয় এলাকায় জেলেরা যত বেশি সচেতন হবে, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ ততটাই উপযোগী হবে।

ইনানী সমুদ্র সৈকতের এক কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে উপকূল পরিচ্ছন্নতা দিবস পালন অনুষ্ঠান শেষ হয়। প্লাস্টিক বর্জ্য, জেলেদের ফেলে যাওয়া প্লাটিকের জাল এবং অন্যান্য বর্জ্য – এই তিন ধরনের বর্জ্য আলাদাভাবে পরিষ্কার করা হয়। এক ঘন্টার এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রায় ৩০০ কেজি বর্জ্য সৈকত থেকে অপসারণ করে ওয়াইসিসি প্রশিক্ষণার্থী এবং ব্লু গার্ডের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস এবং ইউএসএইড এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ওয়াইসিসি কক্সবাজার এবং বান্দরবানের তরুণদের নিয়ে কাজ করছে। গত তিন বছর ধরে ওয়াইসিসি স্থানীয় সংস্থা ইপসা, এআইটি কক্সবাজার, তাজিংডং এবং গ্রিন সেভার্স এর সহযোগিতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণসহ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সাধারণত ১৮-২৪ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত তরুণরা ওয়াইসিসির এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সদ্য নির্মিত সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ গেলো শ্রমিকের
সদ্য নির্মিত সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ গেলো শ্রমিকের
প্রকৌশলী তুহিনের মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
প্রকৌশলী তুহিনের মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
নিজের বিভাগের উন্নতি না করে বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই: তামিম 
নিজের বিভাগের উন্নতি না করে বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই: তামিম 
সর্বাধিক পঠিত
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার