তারুণ্যের স্বপ্নাশ্রয় ‘ইয়ুথ কার্নিভাল’

ফটো ০৭তারুণ্যকে কাজে লাগাতে দরকার প্ল্যাটফর্ম।সব সময় কিছু করতে চাই করতে চাই স্বর ওঠানো তারুণ্যকে দেখাতে হবে পথ। তবে সেই পথ দেখানোর লোক কোথায়? কারা তারুণ্যের উদ্দামতাকে আশ্রয় দিচ্ছেন? “উন্নত প্রযুক্তিগত শিক্ষাসহ প্রতিটি সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ইতোমধ্য আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে অনলাইনে বিগডাটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর সম্পূর্ণ বাংলায় কোর্স চালুর করা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। যেখানে দেশ-বিদেশের প্রতিভাবান ও খ্যাতনামা লেকচারেরা দেশের তরুণদের উন্নত শিক্ষা ও দক্ষতা নিশ্চিত করবে।” কথাগুলো বলছিলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক ও অরাজনৈতিক তরুণদের সংগঠন ইয়ুথ কার্নিভালের সিইও শাহিনুর আলম জনি।

শাহিনুর আলম জনি জানান,বাংলাদেশের তরুণদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলতে এবং তাদের সঠিক পথ নির্দেশনা ও উন্নতমানের দক্ষতা নির্মাণই ইয়ুথ কার্নিভালের একমাত্র ভিশন।

ইয়ুথ কার্নিভাল গত দুই বছরের মতো এ বছরও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করছে ‘ইয়ুথ কার্নিভাল-২০১৭’। এবার ইয়ুথ কার্নিভাল উৎযাপন করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ হাজার তরুণ শিক্ষার্থী। এছাড়াও এ বছর ইয়ুথ কার্নিভাল দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৮টি সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করছে।

ইতোমধ্যে গত জুলাই মাসে দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লিডারশিপ ও ইনোভেশন কার্নিভাল’ শীর্ষক সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে ইয়ুথ কার্নিভাল। যেখানে অংশগ্রহণ করে প্রায় ১৪ হাজার এর অধিক শিক্ষার্থী। আর এই আগস্ট মাসেই হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করছে ইয়ুথ কার্নিভাল। যেখানে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিটি সেমিনার ও ওয়ার্কশপেই বিনামূল্যে তরুণেরা যোগদান ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।ফটো ০৬

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, গত দুবার ইয়ুথ কার্নিভাল ক্যারিয়ার ও স্কলারশিপ নিয়ে আয়োজিত হলেও এ বছর অনেকটা ভিন্নতা নিয়ে আসা হয়েছে। এবাবের ইয়ুথ কার্নিভাল পরিচিত হচ্ছে ‘লিডারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন কার্নিভাল’ নামে। এ বছর আলোচনার মূল বিষয় বস্তু হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বাজারকে কেন্দ্র করে। যেখানে আলোচনা হচ্ছে-টেক লিডারশিপ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, আই ও টি, বিগডাটা, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, ইনোভেশন ড্রিভেন অন্টাপ্রেনিয়ারশিপসহ আধুনিক রবোটিক্স নিয়ে। এসব বিষয় নিয়ে সেমিনার ও ওয়ার্কশপগুলোতে এবার আলোচনা করছেন ইয়ুথ কার্নিভালের সিইও ও এরিকসন আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সলুশ্যন আর্কিটেক্ট শাহিনুর আলম জনি, ইয়ুথ কার্নিভাল ও আইরিশ কোম্পানি লেন ইন্টারন্যাশনালের ডাইরেক্টর বদরুল জুয়েল, ইয়ুথ কার্নিভালের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ সায়েন্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুমন সাহা এবং ইয়ুথ কার্নিভালের সিটিও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

টেক লিডারশিপ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শাহিনুর আলম জনি বলেন, ‘দেশের বেকারত্বে দূর করতে এবং দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে নিজের অবস্থান শক্ত করতে লেটেস্ট টেকনোলজি ভালোভাবে জানার বিকল্প নাই।’

এ সময় বাংলাদেশ সায়েন্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও ইয়ুথ কার্নিভালের উপদেষ্টা সুমন সাহা বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে বেগবান করতে এখনই তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা ও বিশ্ববাজারে নতুন মার্কেট সৃষ্টি ছাড়া অন্য কোন বিকল্প হতে পারে না। বাংলাদেশের রয়েছে হাজারও তরুণ আইডিয়াবাজ, যাদের বিশ্ববাজারে ব্যবসায়িক দক্ষতার সঙ্গে সক্রিয় করতে পারলে এ দেশেই বিশ্বের অন্যতম সেরা কোম্পানিগুলোর জন্ম দেওয়া সম্ভব।’

এছাড়াও ইয়ুথ কার্নিভাল ওয়েবসাইটে দেশের তরুণরা খুঁজে পাবে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের নতুন নতুন সুযোগ, চাকরি, স্কলারশিপ, এওয়ার্ড, লেটেস্ট টেকনোলজির যেমন বিগ ডাটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ও ক্লাউড কম্পিউটিং সহ উদ্যোক্তা, লিডারশিপ এবং বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির খবরসহ ক্যারিয়ার গঠনের ওপর মূল্যবান আর্টিকেলসমূহ। আর ইয়ুথ কার্নিভালের পুরো আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে আইরিশ কোম্পানি লেন ইন্টারন্যাশনাল এবং দেশের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশ সায়েন্স সোসাইটি।

ইয়ুথ কার্নিভালের সিইও শাহিনুর আলম জনি মনে করেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা  থেকে সহযোগিতা পাওয়া গেলে তাদের এই যাত্রা আরও সহজ ও বেগবান হবে।