এখানে অভিজ্ঞ ই-শিক্ষকগণ হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে স্কিল ভিত্তিক কোর্স। রেপটোতে কোর্স করতে কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে হয় না। ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনে কোর্স করতে পারবে যে কেউ।
ইশতিয়াক সায়েমের উদ্যোগে ২০১৫ সালে মাত্র ৩টা কোর্স দিয়ে শুরু হয় রেপটো। এখন রেপটোতে রয়েছে ১০০টিরও বেশি কোর্স। যার মধ্যে প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে রয়েছে অ্যামাজন এফবিএ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, পাবলিক স্পিকিং, স্পোকেন ইংলিশ, ওয়েব ডেভেলপমেন্টসহ অন্যান্য কোর্স।
এছাড়াও স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিংয়ের বেশ কিছু বেসিক কোর্স রয়েছে, যা একজন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে করতে পারবে।
ইশতিয়াক সায়েম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করার ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও ডিভিডি দিয়েও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করি আমরা।
ফ্রিল্যান্সিং, মার্কেটিংসহ, অন্যান্য কারিগরি বিষয়ক কোর্স শিখে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজেদের অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলছে, তেমনি সাবলম্বী হয়ে দেশের বেকারত্বের হার কমিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে পারবে বলে রেপটোর সকল কর্মীরা মনে করেন।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে রেপটোর প্রতিষ্ঠাতা ইশতিয়াক সিয়াম বলেন, বর্তমান অনলাইন এডুকেশন সেক্টরগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তুরস্ক, ইউএসএ, ভারত সহ অন্যান্য উপমহাদেশীয় দেশ। বাংলাদেশকেও এই তালিকায় দেখতে চাই। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন আধুনিক কারিগরি বিষয়ে দক্ষ করে জনশক্তি গড়ে তোলাই রেপটোর মূল উদ্দেশ্য।
রেপটোর প্রাপ্তির তালিকায় বাংলাদেশ স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭, সুইস এ্যম্বাসি অ্যাওয়ার্ড-২০১৭, ব্র্যাক ম্যারাথন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ সহ মোট ছয়টি অ্যাওয়ার্ড যোগ হয়েছে।