শিক্ষানীতি নিয়ে বিওয়াইএলসির গোলটেবিল

Participants at BYLC’s roundtable on reimagining education for a rapidly changing worldপরিবর্তিত বৈশ্বিক বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দেশের বিদ্যমান শিক্ষা পাঠ্যক্রমের সংস্কার হওয়া জরুরি, যা শিক্ষার্থীদেরকে চাকরির বাজারে ভালো সুযোগ পেতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা।

জাতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রমে সফট স্কিলস, ব্যাবহারিক দক্ষতা এবং ২১ শতকের দক্ষতাগুলো অন্তর্ভুক্ত করার প্রতি জোর দেয়া সহ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও নজর দেয়ার প্রতি জোর দেন আলোচকরা। তারা মনে করেন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ বাড়ানোসহ তাদেরকে আরও সৃজনশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

গোল টেবিল আয়োজনে ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইইডি) এর পরিচালক ড. ইরাম মারিয়াম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের বলার এবং শেখার জন্য নতুন একটি উদ্ভাবনী ক্ষেত্র বা প্লাটফর্ম তৈরিতে সরকারকে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে এবং শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারকে এই বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া। এসময় তিনি সমষ্টিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, জনাব ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের জন্য একটি সামগ্রিক শিক্ষানীতির খসড়া তৈরির কাজ চলছে। এই লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা চলছে এবং শিগগিরই শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করা হবে।

বিওয়াইএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইজাজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণদের প্রস্তুত করতে নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন কর্মী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে এবং একইসাথে তাদের মানসিক ও শারিরীক সুস্বাস্থ্যও নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য,বাংলাদেশের প্রথম নেতৃত্বচর্চা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার, ২০১৮ সালে একটি যুব নেতৃত্ব সম্মেলনের আয়োজন করে যেখানে তরণদের কাছে প্রাধান্য পায় এমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই সম্মেলনে ৩৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং তরুণ পেশাজীবি একটি ইশতেহার তৈরি করে, যাতে তরুণদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রুপরেখা প্রকাশিত হয়। শিক্ষার মান এবং পরিবর্তনশীল বিশ্বে তাল মেলাতে সহায়ক দক্ষতার উন্নয়ন সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো ইশতেহারে উঠে এসেছে, সেগুলোই গোলটেবিল আলোচনায়  উত্থাপিত হয়।