স্বপ্নচারী উচ্চশিক্ষা বৃত্তি পেয়েছে রনি ও নাঈম

তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান ‘সায়েম গ্রুপ’ তাদের কারখানা কর্মীদের দুইজন মেধাবী সন্তানকে ‘স্বপ্নচারী উচ্চশিক্ষা বৃত্তি-২০১৯’ প্রদান করেছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত দু’জন হচ্ছে মাহফুজুর রহমান রনি ও নাঈম খান। তারা দুজনই নবম শ্রেণির ছাত্র। রনির পিতা আসাদুল ইসলাম আসাদ সায়েম গ্রুপে স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত এবং নাঈমের পিতা হাবিল উদ্দিন খান ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছেন। এই বৃত্তির অধীনে স্নাতক পর্যন্ত তাদের পড়াশোনার পূর্ণ খরচ বহন করবে কোম্পানিটি।

বৃত্তিপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী
বৃত্তির জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে ওয়ান পার্সেন্ট ফাউন্ডেশনের ‘স্বপ্নচারী- উচ্চশিক্ষা বৃত্তি’ প্রকল্প। এই প্রকল্পটির লক্ষ্য বিভিন্ন স্থান থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী বাছাই করে তাদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি প্রদান করতে দাতাদের উদ্বুদ্ধ করা। বর্তমানে স্বপ্নচারী প্রকল্পটি বিভিন্ন তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ করছে। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের বাছাই করে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করছে। পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী বাছাই করা হয়। পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
সায়েম গ্রুপ থেকে এবছর বৃত্তিপ্রাপ্ত দুজনের স্নাতক পর্যন্ত সকল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যয় কোম্পানিটি বহন করবে। সেই সঙ্গে স্নাতক পাস করার পর এক বছরের প্রশাসনিক ইন্টার্নশিপ অফার করবে কোম্পানিটি। এই সময়ে কর্মক্ষেত্রে তার পারফরম্যান্স ভালো হলে তাকে স্থায়ী চাকরিও দেওয়া হবে।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সায়েম গ্রুপের পরিচালক আবরার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির দুজন কর্মীর সন্তানকে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশা করি তারা তাদের ভালো ফলাফল অব্যহত রেখে নিজেদের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এবং ভবিষ্যতে একইভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবে।’ সেই সঙ্গে তিনি প্রতি বছর এই বৃত্তি প্রদান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্বপ্নচারী উচ্চশিক্ষা বৃত্তি কমিটির সমন্বয়ক খন্দকার গালিব সাত্তার বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বের করে আনতে এই প্রকল্পটি শুরু করি। সায়েম গ্রুপকে ধন্যবাদ আমাদের সার্বিক সহায়তা ও বৃত্তি প্রদান করার জন্য। আমরা আশা করি সায়েম গ্রুপের এমন কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য কারখানাগুলোও এমন বৃত্তি প্রদান করবে এবং সবাই মিলে আমরা মেধাবীদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারব।’
বৃত্তিপ্রাপ্তদের লেখাপড়া সংক্রান্ত বিষয়া পর্যবেক্ষণ করবে স্বপ্নচারী। লেখাপড়ার খরচ বহনের পাশাপাশি তাদের দক্ষতা উন্নয়নে নেতৃত্ব ও আইটির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।