X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল চায় রেলপথ ও স্থল ভিসা, বাংলাদেশের দরকার জল বিদ্যুৎ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:১৮আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:০১

বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গাওচান তাসাকালির  (ROMI GAUCHAN TSAKALI) । রবিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে বিবিআইএন চুক্তির আওতায় নেপাল চেয়েছে ২০১৮ সালের মধ্যে মংলা থেকে ভারতের সিনবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ এবং তাদের নাগরিকদের জন্য স্থল ভিসা আর বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে নেপালে উৎপাদিত জল বিদ্যুত।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ‘বৈঠকে মোট তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ভারতকে সঙ্গে নিয়ে নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। কারণ নেপাল ও বাংলাদেশের মাঝখানে ভারতের অবস্থান। তাই ভারতকে বাদ দিয়ে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ নেপালে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। আগামী ১/২ বছরের মধ্যে নেপাল যদি তাদের ঘাটতি মেটাতে পারে তবে আমরা সে দেশ থেকে এ বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবো।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে রেললাইন চালু করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নেপাল মংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তাই মংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ শেষ হলেই দুই দেশের মধ্যে স্থলপথে পণ্য আনা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রেল ট্রানজিটটি বাস্তবায়িত হলে বঙ্গোপসাগর দিয়ে পণ্য আমদানি করে মংলা নৌবন্দরে তা খালাসের পর মংলা-খুলনা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর স্থলবন্দরে তা আনতে চায় নেপাল।এরপর ভারতের সিনবাদ রুট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে তা নেপালের বীরগঞ্জে প্রবেশ করানো সহজ হবে।

তোফায়েল বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে রেল পথে পণ্য আনা নেওয়া শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে নেপালের নাগরিকদের বিমানপথে ভিসা দেওয়া হয়। বাংলাবান্ধা ও রোহানপুর স্থলবন্দর দিয়ে নেপালিদের স্থল ভিসা দেওয়ার আহ্বান করেছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী। যদিও ভিসার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিষয়। তারপরও দুই দেশের সচিব পর্যায়ের একটি কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ভিসা দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করা হবে।’

রেলপথ কোন চুক্তির আওতায় করা হবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিবিআইএন কানেক্টিভিটি চুক্তির আওতায় এটা করা হবে। এটি বাস্তবায়ন করা হলেই নেপালের সঙ্গে সড়ক পথে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৬ সালে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য শুরু হয়। এরপর থেকে বাণিজ্য কখনও আমাদের অনুকূলে কখনও নেপালের অনুকূলে ছিল। বর্তমানে ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমাদানি-রফতানি করা হয়।

/এসআই/এসএনএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
রাজশাহীতে হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব, পদক পাচ্ছেন ৬ জন
রাজশাহীতে হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব, পদক পাচ্ছেন ৬ জন
এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান
এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে