X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দেশের অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে: বিআইবিএম

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৫৫আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:০০

 ‘প্রাইভেট কমার্শিয়াল বোরোয়িং ফ্রম ফরেন সোর্সেস ইন বাংলাদেশ: অ্যান অ্যানাটমি’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে আলোচকরা বেসরকারি খাতে বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণ বৈদেশিক মুদ্রার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। যা দেশের অর্থনীতিতে উদ্বেগ  বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গবেষণা প্রতিবেদনে এমন কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালে চার’শ কোটি ডলার বেসরকারি খাতে বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণ ছিল। ২০১৭ সালে তা বেড়ে প্রায় সাড়ে ১১’শ কোটি ডলার। বিদেশি এ ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ শতাংশ।  বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল)  রাজধানীর বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে  ‘প্রাইভেট কমার্শিয়াল বোরোয়িং ফ্রম ফরেন সোর্সেস ইন বাংলাদেশ: অ্যান অ্যানাটমি’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। গবেষণা দলে আরও ছিলেন বিআইবিএমের অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, বিআইবিএমের সহাকারি অধ্যাপক রুহুল আমীন, বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক অন্তরা জেরিন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) উপসচিব মো. আরিফুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক প্রদীপ পাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণের ১১ ধরনের উদ্বিগ্নতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফরেন কারেন্সি রিস্ক, মোরাল হ্যাজার্ড, কস্ট অব বোরোয়িং, ফরেন কারেন্সি বোরোয়িং লোকাল বিজনেস অর্গানাইজেশন, লোন ইউটিলাইজেশন, পলিসি আনসার্টিইনিটি, পলিসি সাপোর্ট, ভেরিফিকেশন অব অ্যাপ্লিকেশন, বোরোয়িং ফ্রম অব শোর ব্যাংকিং ইউনিট ও ঋণ অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রিতা। এতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২৪ শতাংশ বিদেশি ঋণ পোশাক খাতে। এরপর বিদ্যুতে ২১ শতাংশ, সুয়েটারে ১৬ শতাংশ,ডায়িং ও নিট গার্মেন্টসে ১২ শতাংশ, টেক্সটাইলে ১১ শতাংশ, প্ল্যাস্টিকসে ৫ শতাংশ, সেবায় ৩ শতাংশ ও ওষুধে ২ শতাংশ।

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, ‘রফতানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে প্রথম দিকে এ ঋণের কিছু অপব্যবহার হয়েছিল। এখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। পুরো বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোরভাবে নজরদারি করছে।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ বেসরকারি খাতে বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলেও বিষয়টি সর্তকতার সঙ্গে দেখতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণের প্রয়োজন  রয়েছে। তবে বিদেশি বাণিজ্যিক ঋণ যেন ভিন্ন খাতে ব্যবহার না হয়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘বন্ড মার্কেট ডেভেলপ করলে তারল্য সংকট থাকবে না। তবে এজন্য সরকারি বন্ড মার্কেট ডেভেলপ করা জরুরি। পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নিলে ব্যাংকিং খাতে কোনও তারল্য সংকট থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বিডার নির্বাহী কমিটির সদস্য নাভাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘২০০৯ সালের দিকে ব্যাংকে উচ্চ সুদের কারণে একটি সংকট সৃষ্টি হয়। ব্যাংক ঋণ নিয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে অনেক বেশি খরচ পড়ে যাচ্ছে। আরও কয়েকটি কারণে সরকার বিদেশি ঋণের অনুমোদন দেয়। কিন্তু ঋণগ্রহীতাদের ঋণের অর্থ সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।’

/জিএম/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অবশেষে মোংলায় ঝরলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
অবশেষে মোংলায় ঝরলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার তালিকায় সৈকত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার তালিকায় সৈকত
গাজায় পানি শূন্যতায় ভুগছেন দেড় লক্ষাধিক গর্ভবতী নারী
গাজায় পানি শূন্যতায় ভুগছেন দেড় লক্ষাধিক গর্ভবতী নারী
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ