X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

কাজ না থাকলে কারখানা বন্ধ রাখুন: বিকেএমইএ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ মার্চ ২০২০, ১৯:২৫আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২০, ১৯:২৮

 

বিকেএমইএ

কাজ না থাকলে বিকেএমইএ’র আওতাভুক্ত পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিকেএমইএ। এই পরামর্শের আলোকেই আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুদিন কারখানা বন্ধ রাখার জন্য কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংগঠনটি বলছে, এই সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের সুবিধাই হবে।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত একটি পরামর্শপত্র সংগঠনের সব সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পরামর্শপত্রে বলা হয়েছে, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সরকারি ছুটি এবং ২৭ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায়, ওই দুদিন শ্রমিকদের সুবিধার্থে (বিশেষ করে তাদের বাজার, ঔষধপত্র ক্রয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজের কারণে) সম্ভব হলে আপনার কারখানা বন্ধ রাখার জন্য আমরা সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।’ একইসঙ্গে যথাসময়ে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধের ব্যাপারে এখনই কারখানা মালিকদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সেলিম ওসমানের পাঠানো ওই পরামর্শ আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত কার্যালয় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের জানা তথ্য মতে, অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই আপনার প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট কাজ না থাকলে আপনিও ইচ্ছে করলে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আপনার কারখানা বন্ধ রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তার বেতন-ভাতা সময়মতো প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার জন্য প্রয়োজনে ইচ্ছে হলে নিটিং, ডায়িং ক্লোজ করে সীমিত আকারে আপনার ফ্যাক্টরি পরিচালনা করতে পারেন। এক্ষেত্রেও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ পরামর্শপত্রে আরও বলা হয়, ‘আপনার প্রতিষ্ঠানের একজন শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে, আপনার পুরো প্রতিষ্ঠানকে এমনকি আপনার আশেপাশের ফ্যাক্টরিগুলো তথা পুরো এলাকাকে লকডাউন করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি বিপদগ্রস্ত হবো। একইসঙ্গে কারখানা ছুটিকালীন সময়ে আপনার কারখানার শ্রমিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে, এটা কোনও ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করছে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে। রফতানি কার্যাদেশ বা এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম না থাকলে ফ্যাক্টরি চালানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ জনসমাগম যত কম হবে, ততই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমবে। তাই অপ্রয়োজনে কারখানায় শ্রমিক এনে হাজিরা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

 

 

/এসআই/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক’
‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক’
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
সবসময় সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না: রাজ্জাক
সবসময় সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না: রাজ্জাক
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ