X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী দশকে বাংলাদেশের রফতানি বহুমুখী হবে: এইচএসবিসি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ মার্চ ২০১৬, ১২:২৩আপডেট : ৩০ মার্চ ২০১৬, ১৪:৪৬


এইচএসবিসি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে আগামী দশকে (২০২০-৩০) বাংলাদেশের রফতানি বহুমুখী হবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক হংকং শাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫টি দেশের মধ্যে বাণিজ্য আস্থা স্কোরে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধির অনুকূল বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং ক্ষুদ্র অর্থনীতিবান্ধব নীতির সমর্থনে কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ প্রশস্ত হয়েছে। এই সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউরোপে প্রতিযোগিতামূলক মুদ্রা এবং বাণিজ্য উদারিকরণের ফলে ২০১৭-২০ সালে বাংলাদেশের রফতানির গড় প্রবৃদ্ধি ১০.৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের রফতানির প্রায় তিন চতুর্থাংশই দখল করবে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক। এছাড়া ২০১৬-২০ সালের মধ্যে আটটি পণ্য সেক্টরের মধ্যে সাতটি দ্বিগুণ হারে বাড়বে।
প্রতিবেদনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে ৬.৫ শতাংশের বেশি হবে বলে ধারণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবহন এবং জ্বালানি অবকাঠামো খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে। এটি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণে এবং রফতানি বহুমুখীকরণে উৎসাহ যোগাবে। বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ট্রেড কনফিডেন্স স্কোর বেড়ে ১৩১ হয়েছে। এই স্কোর ২০১৫ সালের স্কোরের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেশি। বাংলাদেশ ২৫টি নমুনায় এখন সর্বোচ্চ স্কোরে রয়েছে।

এইচএসবিসি আরও বলেছে, বাংলাদেশের জিডিপি এখন ২০১৪-১৫ অর্থবছরের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি ৭ শতাংশের কাছাকাছি যাবে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়। ব্যবসায়িক মনোভাবের উন্নতি, রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য উদারিকরণে আগামী বছরগুলোতে প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

বস্ত্র ও পোশাক বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি খাত এবং আশা করা হচ্ছে ২০২১ থেকে ২০৩০ সালে রফতানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশের রফতানি আয়ে তিন -চতুর্থাংশ দাঁড়াবে। টেক্সটাইল ও কাঠ উৎপাদন খাতের অবদান দাঁড়াবে ১৫ শতাংশ। ২০২১ থেকে ৩০ সালে শিল্পের যন্ত্রপাতি রফতানি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের সাক্ষরতার হার ২০০১ সালের ৬৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৮১ শতাংশ এবং একই সময়ে মোবাইল ফোন গ্রাহক প্রতি ১০০ জনে ১ জন থেকে বেড়ে প্রায় ৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ধীরে ধীরে খাতসমূহকে বাংলাদেশের উচ্চ রফতানি আয়ের দেশে পরিণত করবে।

আইসিটি সরজ্ঞাম রফতানি ২০২১-৩০ সালে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং একই সময়ে যানবাহন এবং পরিবহন সরঞ্জাম রফতানি ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সূত্র: বাসস।

/এফএস/ 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ
হার চোখ রাঙালেও সিরিজ জিতলো বাংলাদেশই
হার চোখ রাঙালেও সিরিজ জিতলো বাংলাদেশই
কাগজে হাত মুছতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কাগজে হাত মুছতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
‘পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে বললেন, তোর কোন পায়ে গুলি করবো বল?’
‘পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে বললেন, তোর কোন পায়ে গুলি করবো বল?’
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাদ্দামের বছরে আয় ২২ লাখ, ব্যাংকে ৩২ লাখ, উপহারের স্বর্ণ ৩০ ভরি
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচনছাত্রলীগ সহসভাপতি সাদ্দামের বছরে আয় ২২ লাখ, ব্যাংকে ৩২ লাখ, উপহারের স্বর্ণ ৩০ ভরি
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা