X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউনে শিল্প-কারখানা চালু রাখতে এফবিসিসিআই’র প্রস্তাব

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ জুলাই ২০২১, ১৭:৪৬আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২১, ১৭:৪৬

ঈদের পর দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। 

শুক্রবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই’র সভাপতি এই আহ্বান জানান।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখা হলে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিঘ্নিত হবে। এতে উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রী, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বোতলজাত পানীয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ইত্যাদি উৎপাদন বন্ধ থাকলে সাধারণ ভোক্তারা সমস্যায় পড়বেন। পণ্যসামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ ও বাজারজাত না হলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ বিপদে পড়বেন। 

তিনি বলেন, রফতানি খাতের কারখানা বন্ধ থাকলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে না। এতে রফতানির ক্রয়াদেশ বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হবে। ঈদের ছুটিসহ প্রায় ১৮-২০ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে গ্রীষ্ম ও বড়দিন এবং আগামী শীতের বস্ত্র খাতের ক্রয়াদেশ হাতছাড়া হতে পারে। এক মাসের রফতানি শিডিউল বিঘ্নিত হলে পরবর্তী ছয় মাসের রফতানি শিডিউলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে উৎপাদন বন্ধ থাকলে আমদানি করা কাঁচামাল অব্যবহৃত হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এতে আমদানিকারক ও উৎপাদক উভয়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। 

এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও ছোট কারখানা লম্বা সময় বন্ধ রাখা হলে উদ্যোক্তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এমনকি কারখানাগুলো পুনরায় চালু করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এফবিসিসিআই’র আরও সভাপতি বলেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে ওষুধ কারখানার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। যদি ওষুধ কারখানা বন্ধ রাখা হয়, তাহলে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। অপর দিকে ট্যানারি বন্ধ রাখা হলে কোরবানি ঈদে সংগৃহীত চামড়া সংরক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জীবনরক্ষাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু উৎপাদনব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হলে খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেবে। সে জন্য ঈদের পর দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু রাখা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও রফতানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন চালু রাখার সুযোগ পায়।

 

/জিএম/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাটি কাটার সময় বেরিয়ে এলো রাইফেল, গ্রেনেড ও মর্টারশেল
মাটি কাটার সময় বেরিয়ে এলো রাইফেল, গ্রেনেড ও মর্টারশেল
২৩ মিনিটে জামালকে তিন গোল দিয়ে সেমিফাইনালে পুলিশ
২৩ মিনিটে জামালকে তিন গোল দিয়ে সেমিফাইনালে পুলিশ
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
উত্তর গাজায় আবারও হামলা জোরদার করলো ইসরায়েল
উত্তর গাজায় আবারও হামলা জোরদার করলো ইসরায়েল
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী