X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

চাইলেই পুঁজিবাজার নিয়ে কেউ খেলতে পারবে না: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ মার্চ ২০২১, ২২:২৭আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২১, ২২:২৭

শেয়ারবাজারে ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আর নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, কেউ চাইলেই পুঁজিবাজার নিয়ে খেলতে পারবে না। গ্রুপ করে হয়তো বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব, তবে সেটা করতে গেলেও ধরা পড়ে যাবে। এরপরও যদি সবাই একদিনে সব শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়, এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু বাজারকে কেউ যদি ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তার অসুবিধা আছে। সরকার বদ্ধপরিকর, কেউ এখানে অসুবিধা সৃষ্টি করলে সরকার সহ্য করবে না।

শনিবার (১৩ মার্চ) ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ডায়ালগ অন বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসইসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কোথাও ইনসাইডার ট্রেডিং হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সফটওয়্যারে ধরা পড়ে। আমরা সংশ্লিষ্টদের ডেকে আনি। তাদের বিও হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হয়, জরিমানার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। সবকিছুই এমনভাবে করি, যাতে প্যানিক সৃষ্টি না হয়।

তিনি বলেন, ‘করোনার শুরুর দিকে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল পেট্রোলের দাম ৫ ডলারে নেমে এসেছিল। সে সময় ৫ ডলারে তেল কিনে রাখলে ৩০ ডলারে বিক্রি করা সম্ভব হতো। এই তেল কেনার শক্তি ও সামর্থ্য সবই ছিল আমাদের। কিন্তু দক্ষতার অভাবে এটা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ সামনে অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। এই রিজার্ভের অর্থের যোগান যারা দেন, তাদের টাকা কিন্তু পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এই রিজার্ভ ধরে রাখলে দায় বাড়বে। তাই রিজার্ভের অর্থ দ্রুত বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।’

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা দেখে, বুঝে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি জানান, একেক ব্যাংকের অবস্থা একেক রকম। সুতরাং আমরা মনেকরি ব্যাংকের লভ্যাংশের বিষয় বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না। এখানে অনেক ব্যারিয়ার আছে। এটা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবো। তবে এখানে শেয়ারহোল্ডার ও এজিএম-এর একটা বড় ভূমিকা আছে, সেটাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত হবে না।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট সমস্যা অথবা মালিকের অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে কোম্পানি ধ্বংস হয়। এজন্য আমরা প্রথমে পর্ষদ পুনর্গঠন করে কোম্পানি ঠিক করার উদ্যোগ নিচ্ছি। তাতে কাজ না হলে এক্সিটের (পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়া) ব্যবস্থা আছে। এ ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ কোম্পানির যথেষ্ট সম্পদ আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচ থেকে ছয়টা কোম্পানি আছে, যাদের বার্ষিক টার্নওভার ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব প্রতিষ্ঠান যাতে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য আমরা বন্ডের ওপর জোর দিচ্ছি। সামনে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হলে বন্ডের বিকল্প নেই।’

/এসআই/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিং:  বাংলাদেশ থেকে শীর্ষে বুয়েট, বেসরকারিতে নর্থ সাউথ
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিং: বাংলাদেশ থেকে শীর্ষে বুয়েট, বেসরকারিতে নর্থ সাউথ
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ হলে কম দামে চাল কিনতে পারবে মানুষ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ হলে কম দামে চাল কিনতে পারবে মানুষ: খাদ্যমন্ত্রী
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে