২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়কে ‘অবকাঠামো বিনিয়োগ বছর’ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এতে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আবুল কাসেম খান স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করার জন্য অবকাঠামোর উন্নয়ন ও সংস্কারকে অধিক হারে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৯-২০২১ সালকে ‘অবকাঠামো বিনিয়োগ বছর’ ঘোষণার প্রস্তাব দেন। তিনি বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ ২৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে উন্নীত করার জন্য প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দক্ষ জনসম্পদ তৈরির পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান। এছাড়া ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বিডা প্রস্তাবিত ‘ওয়ানস্টপ’ সার্ভিস দ্রুত চালু এবং বেজা ও বেপজা পরিচালিত বিভিন্ন সেবার সঙ্গে সমন্বয়ের পরামর্শ দেন। একইভাবে তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিতকরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে ‘এফডিআই প্রোমশন টাস্ক ফোর্স’ গঠনেরও প্রস্তাব দেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক আর্থিক খাত এখনও কাঙ্খিত মাত্রায় সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এজন্য এ খাতে নীতিমালার সংস্কার ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম প্রয়োজন।’ তিনি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইক্যুয়িটি এবং এঞ্জেল ইনভেস্টমেন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ৫ বছর করমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে মত দেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের বেতন-ভাতায় প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় এবং এক্ষেত্রে আমরা যদি নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারি, তাহলে সহজেই এ টাকা দেশের অভ্যন্তরে রাখা সম্ভব।’ তিনি বাংলাদেশের কর ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালায় সব উদ্যোক্তার সমতা থাকা একান্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন।
বৈঠকে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, এসএম জিল্লুর রহমান এবং ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।