X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

৫ মাসে ব্যাংক বহির্ভূত ৩৭ হাজার কোটি টাকা!

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জুলাই ২০২০, ০২:৩৯আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২০, ০২:৪১

টাকা করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চলতে শুরু করেছে অর্থনীতির প্রতিটি শাখা। এই মুহূর্তে ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে নিজের হাতে রাখতেই পছন্দ করছেন মানুষ। তথ্য বলছে, মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে ব্যাংকবহির্ভূত টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭ হাজার ১০৫ কোটি। অর্থনীতিবিদদের মতে, সঞ্চয়ের অভ্যাস প্রত্যাহার করে নিজের হাতে টাকা রাখতেই পছন্দ করছেন দেশের জনসাধারণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাস শেষে ব্যাংক-বহির্ভূত টাকার অংক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ কোটি। কিন্তু পাঁচ মাস আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে এটা ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ কোটি। করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এদিকে, চলতি বছরের জুন শেষে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ও এই প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের ওপরে। সংশ্লিষ্টদের মতে করোনাভাইরাসের কারণে আমানতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাসে যা ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৬ কোটি। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে আমানত প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিংখাতের আমানত ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের (২০১৮) একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।

অর্থনীতিবিদদের মতে, আমানত প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ব্যাংকের বাইরে মুদ্রা বৃদ্ধির মূল কারণ করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে এর আক্রমণের শুরু থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যাংকিং খাতের উপর। কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়েছেন অনেক মানুষ। যাদের চাকরি রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেরই বেতন কমে গেছে। তাই নতুনভাবে সঞ্চয়ের চিন্তা না করে জীবন বাঁচানোর চিন্তায় সাধারণ মানুষ। নতুন করে সঞ্চয় তো দূরের কথা উল্টো ব্যাংকের ডিপোজিট ভেঙে ফেলছেন অনেক গ্রাহক।

/জিএম/এফএএন
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, এখনও শঙ্কায় পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, এখনও শঙ্কায় পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা
দীর্ঘদিন পর খাল উন্মুক্ত, ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ উৎফুল্ল
দীর্ঘদিন পর খাল উন্মুক্ত, ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ উৎফুল্ল
গাজাবাসীর নিরাপত্তাই ট্রাম্পের প্রধান চাওয়া
গাজাবাসীর নিরাপত্তাই ট্রাম্পের প্রধান চাওয়া
পাবনায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
পাবনায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল