X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংকট কাটবে কবে?

গোলাম মওলা
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:০০আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৯

বিদায়ী সরকারের সময়ে অনিয়ম, লুটপাট ও নানামুখী সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাতে। এর ফলে পুরো ব্যাংকিং খাত অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও (এনবিএফআই)। অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি এই খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের চেয়েও বহুগুণ বেশি সংকটে ঘুরপাক খাচ্ছে এনবিএফআই।

বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ার পাশাপাশি এখন এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তারল্য সংকটে পড়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের টাকা সময়মতো ফেরত দিতে পারছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আমানতও রাখতে চাচ্ছেন না গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৩৮ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড পরিমাণ ২৩ হাজার ২০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর তিন মাস পর (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৯১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা।

এদিকে তিন মাসের ব্যবধানে ৪৭ হাজার আমানতকারী এনবিএফআই ছেড়ে চলে গেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা ছিল চার লাখ ২৭ হাজার ৩৪১ জন। আর জুন শেষে অর্থাৎ তিন মাস পর আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৭ জন। সেই হিসাবে তিন মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছে ৪৭ হাজার ৬০৪ জন। একক প্রান্তিকে আমানতকারী কমার সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছিল তিন হাজার ৮৮০ জন। এর আগে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছিল ২৫ হাজার ৭৮২ জন। এর আগের তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) এ সংখ্যা কমেছিল ১৮ হাজার ৪৯৩। এছাড়া ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এ সংখ্যা কমেছিল ৩৫ হাজার ৫ জন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে আমানত বেড়েছে ৮ হাজার ১১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই পরিস্থিতির জন্য মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদাররা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের (বর্তমান নাম গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এগুলো হলো— পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্স ও বিআইএফসি। ফলে এই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) একটি সূত্র বলছে, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এসব রাতারাতি পরিবর্তন ঘটবে না। তবে খারাপ প্রতিষ্ঠানের অবস্থার উন্নতি করতে পিপলস লিজিং, উত্তরা ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক বসানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থার পেছনে রয়েছে লুটেরাচক্র। তারা বিদায়ী সরকারের উচ্চ মহলের ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে নিয়ম না মেনে টাকা লুট করে বিদেশে চলে গেছে।

এর ফলে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের খেলাপি ঋণ বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ৯৯.০২ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির খেলাপি হয়েছে ৯৬.৮৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি এখন ৯৪.৭৬ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের খেলাপির হার ৯৪.৪১ শতাংশ এবং জিএসপি ফাইন্যান্সের খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৯২.৩৭ শতাংশে। এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৮৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণের হার ৫৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, আইআইডিএফসি ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও হজ ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া ন্যাশনাল ফাইন্যান্সের ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্স ৫৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, উত্তরা ফাইন্যান্স ৫০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৪৩ দশমিক ১২ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে  ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রেড জোনে ছিল ১৪টি। দুই বছর আগে ২০২১ সালে রেড জোনে ছিল ১২টি। অর্থাৎ এই খাতের প্রতি মানুষের আস্থা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ বের করে নিয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। অবশ্য সবেমাত্র ব্যাংক খাত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আর্থিক খাতের বিষয়ে অভিজ্ঞ ছয় জনকে সদস্য করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন— কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ব্যাংক খাতের সংস্কারের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টি প্রশংসার দাবি রাখে।

সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন করা টাস্কফোর্স মূলত আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ব্যাংক খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদসহ বিভিন্ন ঝুঁকি নিরূপণে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করবে। এছাড়া দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্যও নেওয়া হবে বিশেষ পদক্ষেপ।

ব্যাংক খাত সংস্কারে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এ ঋণ ব্যয় করার কথা রয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। এ খাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকেও সহায়তার আশ্বাস মিলেছে।

ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনসহ ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে ইতোমধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে ডলারের বাজারে অস্থিরতা কমে এসেছে। ব্যাংক খাতে আমানত বাড়তে শুরু করেছে, অর্থাৎ মানুষ ব্যাংকের প্রতি ধীরে ধীরে আগ্রহী হচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক খাতের চেয়ে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংকট বেশি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে টাকা রেখে অনেকেই বিপদে পড়েছেন। বিপদে পড়া ব্যক্তিদের প্রশ্ন, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চলমান এই সংকট কাটবে কতদিনে। 

এদিকে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানরা দেখা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে। তারা ব্যাংক খাত সংস্কারের পাশাপাশি একইসঙ্গে নন-ব্যাংকিং খাতেও সংস্কারের আহ্বান জানালে— তাতে সায় দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর তাদেরকে বলেছেন— ‘এনবিএফআই সংস্কারের কাজ শুরু করবেন এখন থেকে আরও তিন চার মাস পরে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন ব্যাংক খাত সংস্কারের কাজ চলছে। দেশের অর্থনীতি ঠিক করতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে ব্যাংক খাতকে ঠিকঠাক করতে হবে।  বাংলাদেশ ব্যাংক আপাতত ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, তা কেবল ব্যাংক খাতের জন্যই কাজ করবে।

এ প্রসঙ্গে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবেমাত্র ব্যাংকিং খাতকে শৃঙ্খলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাংকিং খাত শৃঙ্খলায় আসলে তবেই নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে শৃঙ্খলায় আসবে। ব্যাংকের সংকট কেটে যাওয়ার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংকট কেটে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতকে দ্রুত মানুষের আস্থায় আনতে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, টাস্কফোর্সের কল্যাণে আগামী তিন- চার মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা বাড়তে শুরু করবে। এরপর নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হবে।’

মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো মোটামুটি চিহ্নিত, অতি দ্রুতই ব্যাংকগুলোর সমস্যার সমাধান করা যাবে। কিন্তু নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো বেশ জটিল। ব্যাংকের চেয়ে এখানে ক্ষতগুলো আরও বেশ গভীরে।’

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড  ইনভেস্টমেন্টের  সাবেক এই চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, এখন ব্যাংকের প্রতিই মানুষের আস্থা কমে গেছে, অনেকেই টাকা তুলে নিতে চাইছে। এই বাস্তবতায় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা আরও তলানিতে নেমেছে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত ভালো হলে বা ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরলে, নন- ব্যাংকিং আর্থিক খাতও ভালো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বাস্তবতায় যেকোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংকট তৈরি হতে বেশি সময় লাগে না, কিন্তু ওই সংকট দূর করতে বেশ সময়  লাগে।’ তার মতে, ব্যাংকিং খাত স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরবে না।

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে তিন জনকে কুপিয়ে জখম, একজনের মৃত্যু
ভাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে তিন জনকে কুপিয়ে জখম, একজনের মৃত্যু
মানুষ দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব: রিজভী
মানুষ দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব: রিজভী
৮ নায়িকা নিয়ে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়া ঘোড়া’
৮ নায়িকা নিয়ে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়া ঘোড়া’
পিএসএলের সব ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে করার পরিকল্পনা
পিএসএলের সব ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে করার পরিকল্পনা
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ