X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার ডাকাতি

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ জোহাকে নিয়ে কেন বিতর্ক

হারুন উর রশীদ
১৪ মার্চ ২০১৬, ১৫:৩২আপডেট : ১৪ মার্চ ২০১৬, ১৫:৩২




জোহা ‘তানভীর হাসান জোহা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কেউ নয়’- মন্ত্রণালয়ের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভির হাসান জোহা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ হ্যাকিংয়ের আসল ঘটনা প্রকাশ করায় একটি মহল আমার ওপর ক্ষুব্ধ। তারাই এখন বলছেন, আমি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কেউ নই। তারা আমাকে তদন্ত কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। আমি রবিবার রাতেও র্যা বের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কাজে অংশ নিয়েছি।’
সোমবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি অনেক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরির ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সাইবার বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন তানভীর হাসান জোহা নামে জনৈক ব্যক্তি। এতে বিস্মিত তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। কারণ ওই ব্যক্তি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কেউ নন’।
‘বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদেনে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি কখনও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ/মন্ত্রণালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর (অপারেশন), কখনও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেছেন। তানভীর হাসান জোহা নামের ওই ব্যক্তির কোনো কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের দায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের নেই। আলোচিত ওই রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনা নিয়ে কোনও তদন্ত কমিটিও করেনি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। ওই ব্যক্তির যে কোনও মন্তব্য তার নিজ দায়িত্বের।’

এর জবাবে তানভির হাসান জোহা বলেন, ‘আমি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর (অপারেশন)- এটা নিয়ে নিয়ে কোনও বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। এটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্প। প্রকল্পটি নতুন অর্থ বরাদ্দের জন্য দু’মাস ধরে স্থগিত আছে। অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে। আমরা আবারও কাজ শুরু করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি কেউ না হই, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার তদন্তে কীভাবে কাজ করছি? আমাকে চিঠি দিয়ে তদন্ত কাজে ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবার রাতেও র্যা বের তদন্ত দলের সঙ্গে আমি ছিলাম। আমি র্যা বের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়েছি এবং তদন্তে সহায়তা করেছি।’

বিজ্ঞপ্তি তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি নিয়ে প্রকৃত তথ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ করায় একটি মহল আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তদন্ত সহায়তা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ আমি অনেক বিষয়েই প্রশ্ন তুলছি।’
জোহা আরও বলেন, ‘আমি বিদেশি নাগরিকদের তদন্তে রাখা নিয়ে আপত্তি করেছি। কারণ আমি মনে করে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি হোল (গর্ত) তৈরি করেছে, আর এখন বিদেশি বিশেষজ্ঞদের হাতে তদন্তের নামে তথ্য তুলে দিলে আরও বড় হোল তৈরি হবে। আমি পুরো বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও জানাতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার আমন্ত্রণে আমি জঙ্গি তৎপরতাসহ সাইবার অপরাধের বড় বড় ঘটনা তদন্তে সহায়তা করেছি। তখন কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন একটি মহলের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।’
ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে জোহা বলেন, ‘রবিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে এটা নিশ্চিত হয়েছি যে, রিজার্ভের সুইফট কোডের কম্পিউটার আলাদা ছিল না। এটা সাধারণ কম্পিউটারের সঙ্গেই ছিল। এই কম্পিউটারের আলাদা কোন নিরাপত্তা ছিল না।’
/এইইউআর/এজে/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা