X
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪০আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৪

সংবাদ সম্মেলনে নসরুল হামিদ বিপু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর পর এবার সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেছেন, ‘গত দশ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৯৪ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। একইসঙ্গে এলপিজির ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। এখন এই দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে মনে করছি।’

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিবাচন পরবর্তী  সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এই সময় পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে প্রকল্পের জন্য অর্থের সংস্থান করা৷ বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের এই বিপুল বিজয় বড় বড় দেশগুলো সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছে। ফলে অর্থায়ন নিশ্চিত করা কঠিন বিষয় হবে না বলেই মনে করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ পেতে হলে আমাদের প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিশ্বে এখন নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটছে।  নতুন প্রযুক্তিগুলো আমাদেরও গ্রহণ করতে হবে।’ 

প্রতিমন্ত্রী  এসময় বলেন, ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান আবারও সংশোধন করে কোন জ্বালানিতে কতটুকু বিদ্যুৎ নেবো তা ঠিক করতে হবে৷ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্য নীতিমালা সংশোধন করে প্রতিবেশীদের তাদের ভুখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এতে বাংলাদেশ আরও সাশ্রয়ী মূল্যে ভারতের বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে। একইসঙ্গে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যে আন্তঃদেশীয়  গ্রিডলাইন নির্মাণ করা হবে তা দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ ওই দুইটি দেশে বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারবে।’

তিনি গভীর সমুদ্রের তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে না হওয়াকে দায়ী করেন৷ আগামী সরকার দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত বিষয়টি করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।’

 

/এসএনএস/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিমানবন্দরে বেবিচকের নিরাপত্তাকর্মীদের নতুন পোশাক
বিমানবন্দরে বেবিচকের নিরাপত্তাকর্মীদের নতুন পোশাক
মার্শের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে গুজরাটকে হারালো লখনউ
মার্শের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে গুজরাটকে হারালো লখনউ
করাচিকে বিদায় করে টিকে থাকলো সাকিবদের লাহোর
করাচিকে বিদায় করে টিকে থাকলো সাকিবদের লাহোর
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ৪ বিদেশি সংগঠনের
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ৪ বিদেশি সংগঠনের
যে কুমির ডেকে আনছেন, তা আপনাদেরই খাবে: আসিফ মাহমুদ
যে কুমির ডেকে আনছেন, তা আপনাদেরই খাবে: আসিফ মাহমুদ
নওগাঁয় আম পাড়া শুরু, আম্রপালি পাওয়া যাবে কবে
নওগাঁয় আম পাড়া শুরু, আম্রপালি পাওয়া যাবে কবে
বাংলাদেশে জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা ঝুঁকিতে ফেলেছে সরকার: এইচআরডব্লিউ
বাংলাদেশে জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা ঝুঁকিতে ফেলেছে সরকার: এইচআরডব্লিউ
‘বিভাজনমূলক’ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ
‘বিভাজনমূলক’ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ