X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভার্চুয়াল অফিস করার নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ মে ২০২০, ১৯:০৭আপডেট : ১১ মে ২০২০, ১৯:৫৫

নসরুল হামিদ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে ছুটির বদলে ঘরে বসে ভার্চুয়াল অফিস করার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১১ মে) তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। কিন্তু জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই ছুটির আওতার বাইরে রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের মাঠপর্যায়ের অফিস খোলা থাকলেও বেশিরভাগ প্রধান কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিতাসের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ঘরে বসেই অফিস করতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইনে অফিস করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে যাতে সব সমস্যা সমাধান করা যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বৈঠকে বলেন, তিতাসের অনেক প্রকল্পের কাজই করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলো আবার চালু করতে হবে।
বৈঠকে তিতাসের তরফ থেকে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরে বলা হয়, এভাবে চললে আগামী ২/৩ মাস পর কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে। তিতাস বলছে, মাসে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করে তিতাস। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪৫ কোটি টাকা। চলতি মাসেও এমনই বিল আদায় হবে বলে মনে করছে তিতাস। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির এফডিআর ভাঙিয়ে এলএনজি এবং আইওসির বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা বলছে, তিতাস মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা এলএনজির বিল পরিশোধ করে থাকে। তিতাস যদি এই অর্থ না দিতে পারে তাহলে এলএনজি আমদানি কঠিন হয়ে যাবে। এলএনজির বিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে বড় রকমের জরিমানা দিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকট তৈরি হলে এলএনজি আমদানিতে সংকট সৃষ্টি হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে সব বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিতরণ কোম্পানি সংকটে পড়েছে। বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে আপাতত বিল আদায় না করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিলের ওপর সারচার্জ মওকুফ করার কথাও বলছে তারা। এর বাইরে জুন পর্যন্ত আবাসিক বিল আদায় স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা পরিস্থিতির বিস্তার রোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দুই মাস যেতে না যেতেই কোম্পানিগুলো আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে সরকারি তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা চাইতে শুরু করেছে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, করোনার কারণে আমাদের সার্বিক ক্ষতির বিষয় তুলে ধরে একটি চিঠি দিতে বলা হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিল আপাতত আদায় স্থগিত রাখার বিষয়ে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিল দিতে হবে।

/এসএনএস/এমআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা