এই শীতে শহরের সম্বলহীন মানুষদের হাতে হাতে ভালোবাসার উষ্ণতায় মোড়ানো কম্বল পৌঁছে দিলেন শিল্পীরা। তাও আবার সেটি হলো দেশের নন্দিত দুই জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী দিলারা জামান ও শর্মিলী আহমেদের উপস্থিতিতে।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৭ ও ৮ জানুয়ারি) দিবাগত প্রায় সারা রাত রাজধানীতে ঘুরে ঘুরে এই কার্যক্রম চালান শিল্পীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শুরু করে এই কার্যক্রম শেষ হয় শুক্রবার ভোর ৭টা নাগাদ। এরমধ্যে মোট ২৭শ’ কম্বল বিতরণ করেন সংশ্লিষ্টরা।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের দুই উপদেষ্টা দিলারা জামান ও শর্মিলী আহমেদ ছাড়াও এ সময় সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মুনা চৌধুরী, সহ-সভাপতি এস আই টুটুল। আরও ছিলেন সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর, অভিনয় শিল্পী আমান রেজা, কাজী আসিফ রহমান, অবিদ রেহান, ড. জমির আহমেদ, মাসুদা বিজলী, ফারহাতুল জান্নাত, সিন মিলন, পাভেল, পারসা, মোস্তফা, রুহি প্রমুখ।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি মুনা চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুরোটা রাত জেগেছি আমরা। ছুটেছি শহরজুড়ে। রাত ৯টায় শুরু করে ভোর ৭টায় বাসায় ফিরেছি। অথচ আমাদের কারও মধ্যে এতটুকু ক্লান্তি কাজ করেনি। বরং কাজটি সুন্দরভাবে করতে পেরে আমরা প্রত্যেকে আনন্দিত।’
তিনি জানান, শহরের ভেতর এদিন রাতে মোট ২৭০০ কম্বল বিতরণ করেছেন তারা। তবে এখানেই শেষ নয়। শিগগিরই এই শিল্পীদল ছুটে যাবেন দেশের প্রত্যন্ত শীতাঞ্চলে। সেখানেও বিপুল পরিমাণে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন।
সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ বলেন, ‘সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কার্যক্রম আমাদের অব্যাহত থাকবে। আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম দুই সদস্য দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ আমাদের সবসময় এ বিষয়ে প্রেরণা দিয়ে চলেছেন।’
এদিকে রাতভর কম্বল বিতরণের এই আয়োজনে সরাসরি অংশ নিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা খানিক সচ্ছল অবস্থায় আছি, তাদের প্রত্যেকেরই এমন মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান করছি। ইয়ুথ বাংলার এই ধরনের কার্যক্রমকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
এই সাংস্কৃতিক সংগঠনটি বরাবরই বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানবকল্যাণে কাজ করে আসছে। করোনাকালেও দারুণভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই শিল্পীরা।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন ‘প্রজেক্ট স্বাবলম্বন’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ওই উদ্যোগের মাধ্যমে অতি দরিদ্র মানুষদের স্বাবলম্বী করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে সংগঠনটি।