রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাইভেটকার কিংবা মোটরসাইকেল ছিনতাই করে, সেই গাড়িই ছিনতাই ও চুরির কাজে ব্যবহার করা হতো। চুরি-ছিনতাইয়ের কাজ শেষ হলে কোনও এক নির্জন স্থানে গাড়ি ফেলে রেখে চলে যেতে চক্রটি। গতকাল (৯ জানুয়ারি) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গাড়ি চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার।
রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হাফিজ আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সিদ্দিকুর রহমান, নুরু মিয়া, হেমায়েত হোসেন ওরফে হিমু, আবুল বাশার। এ সময় উদ্ধার করা হয় একটি প্রাইভেটকার, একটি মোটরসাইকেল, একটি তালা কাটার কার্টার, একটি লাগেজ, ১৯টি কাটা তালা, ৬টি অ্যানড্রয়েড ডেমো মোবাইল ফোন, বেশকিছু সিম কার্ড, ও চারটি জাতীয় পরিচয়পত্র।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘এই চক্রটি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি-ছিনতাই করে আসছিল। চক্রটি ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে রাতে বিভিন্ন দোকানপাটে চুরি-ছিনতাই করতো। রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানে বিশেষ করে মোবাইল দোকানগুলোতে চুরি করে আসছিল তারা। কোনও দোকানে চুরি করলে সবকিছু নিয়ে নিতো, কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা দেখার সুযোগ থাকতো না।’
তিনি বলেন, ‘চুরি-ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা যেখানেই যেতো সেখানেই মাইক্রোবাস ব্যবহার করতো। সঙ্গে অস্ত্রও রাখতো লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য। যদিও গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, উদ্ধার করা অস্ত্রটি খেলনা।’
গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার।
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার গাড়ি চুরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে।