রাঙামাটিতে লংগদুতে পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পাঁচদিন পরও শুরু হয়নি ঘরবাড়ি নির্মাণকাজ। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি এখনও সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন এখনও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ স্থানীয় বিহারেও অবস্থান নিয়েছেন।
ঘটনার পরেরদিন (৩ জুন) রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মাঞ্জারুল মান্নান এক মত বিনিময় সভায় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যার যতোটুকু ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, লংগদুতে হামলার ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য তিন সদস্যসের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়অর পর ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ২১২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
লংগদু থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দিতে তিনটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাইট্টাপাড়া আলতাফ মার্কেট এলাকায় দুইটি অস্থায়ী চৌকি নির্মাণ করা হয়েছে।
লংগদু স্বাস্থ্য কমপেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হুরু বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে লংগদু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও তিনটিলা বৌদ্ধ বিহারে দুটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার ঘটনার পর থেকেই ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, যুবলীগ নেতা ও মোটরসেইকেল ড্রাইভার নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যার প্রতিবাদে উত্তেজিত বাঙালিরা গত শুক্রবার (২ জুন) পাহাড়িদের ঘরবাড়ি আগুন দেয়। এতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই পাহাড়িরা স্থানীয় বিহার ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের ঘরবাড়িও পুড়ে যায়।
/এসএনএইচ/