X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নড়াইলে চাল সংগ্রহ অভিযানে সাড়া দিচ্ছেন না কৃষকরা

নড়াইল প্রতিনিধি
১২ জুন ২০১৭, ১৮:৩৭আপডেট : ১২ জুন ২০১৭, ১৯:৩২

চাল সংগ্রহ অভিযান (ফাইল ছবি)

সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় নড়াইলে চাল সংগ্রহ অভিযানে সাড়া দিচ্ছেন না কৃষকরা। এতে চলতি বোরো মৌসুমে এ জেলা থেকে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযান অনেকটাই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। চাল সংগ্রহ অভিযানের প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও সোমবার (১২ জুন) পর্যন্ত তিন উপজেলার মধ্যে শুধু কালিয়া থেকে মাত্র ৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। চাল সরবরাহের জন্য লোহাগড়া উপজেলায় কোনও মিল মালিকই এখন পর্যন্ত চুক্তি করেননি। নড়াইল সদর উপজেলায় চারজন মিল মালিক চুক্তি করলেও এ পর্যন্ত কোনও চাল সংগ্রহ করা হয়নি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস ও তিন উপজেলার বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

মিল মালিকরা বলছেন, সরকারিভাবে প্রতি কেজি চালের দর ৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চাল ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণেই মিল মালিকদের কাছে কোনও কৃষক ধান বা চাল বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার তিন উপজেলা থেকে মোট একহাজার ৫শ’৩৩ মেট্রিক টন বোরো ধানের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলা থেকে ৫শ’৮৫ মেট্রিক টন, লোহাগড়া উপজেলায় ৬শ’৬২ মেট্রিক টন এবং কালিয়া উপজেলায় ২শ’ ৮৬ মেট্রিক টন সংগ্রহের কথা রয়েছে। বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান গত ৩১ মে থেকে চালু করার নির্দেশনা থাকলেও জেলার কালিয়া উপজেলায় গত ৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

সূত্র আরও জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কালিয়া থেকে মাত্র ৮ মেট্রিক চাল সংগ্রহ হয়েছে। নড়াইল সদর এবং লোহাগড়া উপজেলা থেকে চাল সংগ্রহের পরিমাণ শূন্যের কোঠায়। কালিয়া উপজেলায় মোট ১০ জন মিল মালিক চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করলেও দুয়েকজন ছাড়া চাল সরবরাহ করছেন না কেউ-ই। সংগ্রহ অভিযানের প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও লোহাগড়ায় এখনও কোনও মিল মালিক চুক্তি করেনি।

মিল মালিকরা জানান, সরকারের বেধে দেওয়া দামে লক্ষ্যমাত্রার চারভাগের একভাগ চালও সংগ্রহ করা যাবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন মিল মালিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সরকারের চাল ক্রয়ের নীতিমালা ঠিক না হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বাজারে ধান-চালের মূল্য বেশি থাকলে কৃষক কেন খাদ্য গুদাম বা মিল মালিকদের কাছে ধান-চাল বিক্রি করতে আসবে। ক্রয় অভিযান সফল করতে সরকারিভাবে চালের মূল্য বাড়াতে হবে। নতুবা কোনোভাবেই এ কার্যক্রম সফল হবে না। সামনে ধান সংগ্রহ অভিযানেও এমনটি ঘটার আশংকা প্রকাশ করেছেন তারা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘চাল সংগ্রহ অভিযানের সফলতা নির্ভর করে মিল মালিকদের উপরে। গোডাউনে চাল সরবরাহের ব্যাপারে আমরা তালিকাভুক্ত মিল মালিকদের নিয়মিত তাগাদা দিচ্ছি। অনেক মিল মালিক চাল সরবরাহের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আশা করি, নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।’

/এমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাঙামাটিতে দুই জনকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটিতে দুই জনকে গুলি করে হত্যা
জয়িতা আঁকলেন সুরে সুরে রবির ছবি
জয়িতা আঁকলেন সুরে সুরে রবির ছবি
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস 
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস 
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক