X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক এমপি ও কাস্টম কমিশনারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০১৭, ১৯:২৪আপডেট : ২৯ জুন ২০১৭, ১৯:২৭

সাবেক সংসদ সদস্য এম এ তালহা ও মংলা কাস্টম হাউসের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ তালহা ও মংলা কাস্টম হাউসের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের খুলনায় রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন। খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার  অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আমদানির ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য এনে সরকারের ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।

খালিশপুর থানার ওসি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে দুদক থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মামলার বাদী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন জানান, নাটোর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ তালহা ২০০৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০০৬ সালের জুলাই মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে মদ, বিআরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী আমদানি করেন। তিনি ওই সময় আমাদানি ঘোষণার অতিরিক্ত মালামালি এনে নিয়ম অনুযায়ী মদ ও বিয়ার মংলা বন্দরে আসা ক্রুদের মাঝে বিক্রি করার বিধান লঙ্ঘন করে তা কালোবাজারে বিক্রি করেন। আমদানি ঘোষণার অতিরিক্ত মালামাল আনার মাধ্যমে মংলা কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনার মো. নুরুল ইসলামের যোগসাজসে মাত্র দুই লাখ টাকা রাজস্ব দেন। এর মাধ্যমে তারা ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার, ৩৬০ টাকা রাজস্ব ক্ষতি করেন। এ বিষয়ে মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। ওই কমিটির প্রতিবেদনে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়। দুদকের তদন্ত এ বিষয়টি চিহ্নিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন সাবেক কাস্টমস কমিশনার মো. নূরুল ইসলাম। ওই মামলায় অভিযোগ ছিল, সাবেক কাস্টমস কমিশনার মো. নূরুল ইসলাম, আমদানিকারক মেসার্স মিডিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক হুমায়ন কবীর, বরগুনার আমতলী থানার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ, মেসার্স প্রফেসি শিপিং লাইন্সের মালিক জুলফিকার মালেক ও একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পারস্পরিক যোগসাজশে মেসার্স মিডিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, খুলনা শাখায় এলসি খুলে ৪ হাজার ৫৫ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার মূল্যের সাবান ও বডি স্প্রে জাতীয় প্রসাধনী পণ্য দুবাই থেকে আমদানি করে। কিন্তু মংলা বন্দর দিয়ে ওই পণ্য আমদানির আড়ালে অবৈধভাবে ২৪ হাজার ২৪০ বোতল অনুমোদনহীন বিভিন্ন প্রকার বিদেশি মদসহ দুই কন্টেইনার ইলেক্ট্রনিক ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করে। এভাবে আসামিরা মংলা বন্দর দিয়ে ঘোষণাবহির্ভূত মালামাল আমদানি করে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা অন্যায়ভাবে বিদেশে পাচার করে দেশের ক্ষতিসাধন করেছেন। ২০১১ সালের ৪ জুলাই মংলা (বাগেরহাট) থানায় নূরুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি দায়ের করেছিল।

/এমএনএইচ/

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আ.লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
আ.লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী