X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

পৌরসভার গাছ খাওয়ায় ছাগলটি খেয়েছে পৌর কর্মচারীরা

বরগুনা প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:৩২আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:৩৮

বরগুনা বরগুনা পৌর শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রোপন করা গাছ খেয়ে ফেলার অপরাধে ওই ছাগলটিকেই খেয়ে ফেলেছে পৌর কর্মচারীরা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে বরগুনা পৌর ভবনে এ ঘটনা ঘটে। বরগুনা পৌর মেয়র মো. শাহদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পৌর কর্মচারীদের সূত্রে জানা যায়, বারবার বারণ করার পরেও শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের গাছ খাওয়া থেকে ছাগল নিবৃত করেনি ছাগলেটির মালিক। একাধিকবার ছাগল আটক করে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে আগে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নেটের বেড়ার ভেতরে থাকা বেশ কিছু গাছ খেয়েছে ছাগল। সেই ছাগল পৌর কর্মচারীরা ধরে নিয়ে যায়। রাতে ছাগলটি জবাই করে পৌরভবনের ভেতরেই রান্না করে খেয়ে ফেলেছেন তারা।

এ ব্যাপারে ছাগলের পৌরভবনের পশ্চিম দিকের এলাকার ইরানি বেগম বলেন, ‘ছাগল যে কখন ওখানে গেছে তা আমি ঠিক বলতে পারি না। ওই ছাগলটির দেড় মাসের দুটো বাচ্চা আছে। অনেক খোঁজের পরে জানতে পারলাম যে, গাছ খাওয়ার অপরাধে পৌরসভায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছাগলটি। তখন আমি ছাগল আনতে গেলেও আমাকে ছাগল দেওয়া হয়নি। পরে শুনতে পাই ছাগলটি জবাই করে খেয়ে ফেলেছে তারা।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে বরগুনা পৌর শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য শহরের সদর রোডের সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানো হয়। গাছগুলো প্রতিবারই ছাগল ও ভেড়া মিলে খেয়ে ফেলে।

পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে তিন বার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গাছ লাগানো হয়। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু ছাগলের জন্য কোনও গাছ টেকে না। তাই নতুন করে গত ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে আবারও গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়।

স্থানীয় মাইনুল নামের একজন বলেন, রাস্তার শোভা বাড়ানোর জন্য যে গাছ লাগানো হয়েছে তা কয়েকবার ছাগলে শেষ করেছে। এখন কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তারপরেও রাতের বেলা বেড়া কেটে রাখে ছাগল পালনকারীরা। সকালে আবার ছাগল এসে সড়ক বিভাজকের মধ্যে থাকা ঘাস ও গাছ খেয়ে ফেলে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, শুধু ইরানি একা নয় বরং আরও অনেকেই ছাগল পালন করেন। তাদের ছাগল ও ভেড়া রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখার কারণে গাছ নষ্ট হয়। একাধিক বার এই ছাগলগুলো পৌরসভায় ধরে নিলে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ছাগলের মালিকরা গিয়ে গাছ নষ্ট না করার শর্তে নিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যেতো। কিন্তু আবারও সেই ছাগল গাছ খেয়ে ফেলতো।

এ ব্যাপারে বরগুনা পৌর মেয়র মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ‘শুধু গাছের জন্য অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে। প্রথমে নেট-জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। তা রাতে কেটে রেখে যেত স্থানীয়রা। সকালে আবার ছাগলে খেয়ে ফেলতো গাছ। সর্বশেষ কাঁটাতারের জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এখনও এই বেড়া রাতে কেটে দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাস্তায় লোকও নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই ছাগল ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। এর আগেও একাধিক বার ছাগল মালিকরা পৌরসভায় এসে ছাগল ছেড়ে দিয়ে না রাখার শর্তে স্বাক্ষর দিয়ে ছাগল নিয়ে গেছেন। ইরানির ছাগলের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এটি ঠিক কাজ করা হয়নি।’ এ ঘটনার বিচার করা হবে বলেও জানান তিনি।

/এএইচ/ 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নিজ বুদ্ধিমত্তায় যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
নিজ বুদ্ধিমত্তায় যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
 ‘রান আপের গতি আর হ্যান্ড সুইংয়ে বদল এনেই সাফল্য পাচ্ছি’
 ‘রান আপের গতি আর হ্যান্ড সুইংয়ে বদল এনেই সাফল্য পাচ্ছি’
প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসককে শোকজ
প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসককে শোকজ
ভৈরবে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে একজন গ্রেফতার
ভৈরবে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে একজন গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
আমার কাছে ৪৫টি বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন সমাদ্দার
আমার কাছে ৪৫টি বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন সমাদ্দার
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?