সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লার সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য প্রভাবশালীদের দায়িত্ব দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ধানবান্ধি মতি সাহেবের ঘাট এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে সোমবার (১৮ জুন) বিকালে ধর্ষণ করে একই এলাকার মুদি দোকানদার আকমল হোসেন। পরে শিশুটিকে তারা বাবা-মা উদ্ধার করে ধানবান্ধি মহল্লার পৌর কাউন্সিলর বেলাল হোসেন ও আমির কমিশনারের কাছে বিচারের জন্য যান। কিন্তু তারা বিচার না করে মীমাংসার কথা বলেন। পরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা পুলিশকে অবগত করলে সন্ধার পর সদর থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তারা এলাকার প্রভাবশালীদের বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব দিয়ে চলে আসেন।
এ প্রসঙ্গে পৌর কাউন্সিলর বেলাল হোসেন ও আমির কমিশনার জানান, আমাদের কাছে দু’পক্ষের লোকজনই এসেছিল। পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু পরে এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। এখন পুলিশ পুরো ব্যাপারটি দেখছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে ধর্ষক আকমলকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’ এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা আকমলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।