X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ডুবছে নিম্নাঞ্চল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩০আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৪১

নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ডুবছে নিম্নাঞ্চল (ছবি- প্রতিনিধি)

গাইবান্ধায় সবক’টি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে। এতে আমনক্ষেত, বীজতলাসহ প্রায় ১২০০ হেক্টর জমির বিভিন ফসলি জমি তলিয়েছে। এ ছাড়া, সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, পানি বাড়ার কারণে মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কঞ্চিপাড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ টিআর বাঁধের প্রায় ২০ মিটার ধসে গেছে। এতে আশেপাশের কয়েক গ্রামের বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত তলিয়েছে।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের আরও বেশ কিছু এলাকার শত শত বসভিটে তলিয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক বসতবাড়ি, আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া, ফুলছড়ি উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়ার চরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আংশিক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

তলানোর আশঙ্কায় থাকা বাড়িঘর (ছবি- প্রতিনিধি)

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন বলেন, ‘জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। এ ছাড়া, পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি পদক্ষেপসহ সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ‘বন্যায় কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও নদী ভাঙনের কবল থেকে মানুষের জানমাল রক্ষা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছ। এ ছাড়া, স্থানীয় জরপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত তাদের মাঝে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।’

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রুহুল আমীন বলেন, ‘বন্যার পানিতে চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের আমন ক্ষেত, বীজতলাসহ প্রায় ১২শ' হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি কমলে এসব ফসলের কোনও ক্ষতি হবে না। তবে পানি বাড়লে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এসডিজি অর্জনে বাণিজ্য বিষয়ক গবেষণা জোরদার চান ব্যবসায়ীরা
এসডিজি অর্জনে বাণিজ্য বিষয়ক গবেষণা জোরদার চান ব্যবসায়ীরা
বরগুনায় এক উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
বরগুনায় এক উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
৪৮ বছরে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ
৪৮ বছরে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ
নীতি সুদহার বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ